বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে লিড বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে ৪৩ মিনিটে নেওয়া তার মাটি কামড়ানো শটটি সরাসরি আসায় ধরতে কোনো অসুবিধা হয়নি চিলির গোলরক্ষক কোর্তেসের।
সেই আক্রমণের রেশ শেষ হতে না হতেই ফিরতি মিনিটে কর্নারের বিনিময়ে আরেকটি সেভ করেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। অর্থাৎ, ৪ মিনিটের মধ্যে তিনটি কঠিন আক্রমণের মুখোমুখি হন তিনি। মার্তিনেসের দুর্দান্ত কিছু সেভের আগে ৭ মাস পর আর্জেন্টিনার হয়ে আবারো মাঠে নামেন মেসি। ৫৭ মিনিটে বদলি নামা মেসি অবশ্য গোলে প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারেননি। তবে ম্যাচে ঠিকই ঝলক দেখিয়েছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ৬৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালের দেখা পাওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন মেসি। তবে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়ার আর্জেন্টিনার অধিনায়কের শট দারুণভাবে বøক করেন চিলির ডিফেন্ডার ফ্রান্সিসকো সিয়াররালতা।
সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল চিলি। কিন্তু ম্যাচের ৭৪ মিনিটের সেই সুবর্ন সুযোগটা যেন হেলায় নষ্ট করলেন চিপিদা। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থর এরিয়েল পাসকে গোলমুখে রাখতে পারলেই সমতায় ফিরতে পারত চিলি। কিন্তু চিপিদা যে শটটি নিলেন তা দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে গোল করতে পারেননি মেসি। তার নেওয়া ফ্রি কিকটা গোলমুখে থাকলেও পাওয়ার কম থাকায় ধরতে অসুবিধা হয়নি চিলির গোলরক্ষক কোর্তেসের। তবে ৮৩ মিনিটে গোলের যে সুযোগটা তৈরি করেছিলেন মেসি তা দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু তার অবিশ্বাস্য পাসকে গোলে পরিণত করতে পারেননি সিমিওনে। আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে যখন পাসটা পেলেন সামনে শুধু গোলরক্ষকই ছিল। গোলরক্ষককে বিট করওে ফাঁকা পোস্টে বল রাখতে পারলেন না সিমিওনে। শট নিলেন ডান পোস্টের বাইরের জালে।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারতেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেসও। ৯০ মিনিটে যেমন জোরাল এক ফ্রি কিক নিয়েছিলেন মার্চেলিনো নুনেজ। তবে মার্তিনেসের বিপদে পড়ার আগেই কোনোরকমে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো। এই নুনেজেরই আরেকটি আক্রমণ নষ্ট করে দেন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। হতাশ নুনেজের মতোই পরে ঘরের মাঠে হতাশ হতে হয় চিলিকেও।
আর্জেন্টিনা জয় পেলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। এতে ব্রাজিলের অধ্যায়টা জয়ে রাঙাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। আজ প্রথমবার ব্রাজিলের ডাগআউটে দাঁড়ান ইতালিয়ান কোচ।