নাসিম রুমি: ইতালির ফুটবলের আলাদা সৌরভ আছে। রক্ষণাত্মক ও শারীরিক ফুটবলের সঙ্গে ইন্টার মিলানের কোচ সিমন ইনজাঘি যোগ করেছেন ‘ফলস ডিফেন্স’ ও কাউন্টার অ্যাটাক। বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনাকে হারিয়ে দেওয়া ওই সিস্টেম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অচল বানিয়ে দিয়েছে লুইস এনরিখের পিএসজি।
শনিবার রাতে মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ৫ গোল দিয়েছে পিএসজি। ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লা প্যারিসিয়ানরা।
পিএসজি ম্যাচের শুরুতেই কর্তৃত্ব করে খেলতে শুরু করে। ম্যাচের ১২ মিনিটে দলকে প্রথম লিড এনে দেন আশরাফ হাকিমি। গোলের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো সাবেক ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদ ফুলব্যাককে দিয়ে গোল করান তরুণ ডিয়েসারি দুয়ে।
২১ বছর বয়সী নতুন নেইমার খ্যাত ফ্রেঞ্চম্যান দুয়ে ২০ মিনিটে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করার কীর্তি গড়েন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটর দুয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে ইন্টার মিলানের ঘুরে দাঁড়ানোর বেঁচে থাকা সামান্য আশা শেষ করে দেন।
এরপর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন শীতকালীন দলবদলে নাপোলি থেকে প্যারিসের ক্লাবে যোগ দেওয়া জর্জিয়ান তরুণ খাভিচা খাভারস্তকেলিয়া। বদলি নেমে মায়ুলু ৮৬ মিনিটি ইন্টারের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
এ নিয়ে তিন মৌসুমের মধ্যে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারল ইনজাঘির ইন্টার। অন্যদিকে পিএসজি দু’বার ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতল। মার্সেইয়ের পরে দ্বিতীয় ফ্রেঞ্চ ক্লাব হিসেবে জিতল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে, রামোসদের মতো তারকার পেছনে শতশত মিলিয়ন ইউরো খরচা করে
কাতারের ধনকুবেরর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অথচ এনরিখে আনকোরা তরুণদের তারকা বানিয়ে ছুঁলেন অধরা স্বপ্ন। বার্সার পর পিএসজির ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি হলো তার।