টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পর পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েও দুঃসংবাদ লিভারপুল শিবিরে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গোল করে ডেডলক ভাঙেন আলেক্সান্ডার ইসাক। কিন্তু গোল করার সময় স্পার্স ডিফেন্ডার মিকি ফন ডে ভেনের চ্যালেঞ্জে পড়েন তিনি। এই ডাচ ডিফেন্ডার পেছন থেকে গতিশীল ভঙ্গিমায় স্লাইড করলে ইসাকের পা অস্বস্তিকরভাবে আটকে যায়। লিভারপুলের আশঙ্কা এই চ্যালেঞ্জে ভেঙে গেছে তাদের সুইডিশ স্ট্রাইকারের।
টটেনহ্যাম ম্যাচে কনর ব্র্যাডলির পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নেমেছিলেন ইসাক। মাঠে নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই গোলের খাতা খোলেন ইসাক। কিন্তু গোল উদযাপন করতে দৌড়ানোর বদলে তিনি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এবং চিকিৎসা সহায়তার ইঙ্গিত করেন। কয়েক মিনিট চিকিৎসা নেওয়ার পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন ইসাক এবং তার জায়গায় নামেন জেরেমি ফ্রিম্পং।
পশ্চিমা ক্রীড়া ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, লিভারপুল মনে করছে ইসাকের চোট ‘গুরুতর’ এবং তার পা ভেঙে যেতে পারে। অবশ্য এখনো তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়নি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইসাকের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ স্লট বলেন, ইশাকের ফিটনেসের বিষয়ে আমার কাছে কোনো আপডেট নেই। কোনো খেলোয়াড় গোল করে কেউ একেবারে মাঠে ফেরার চেষ্টা না করে, সাধারণত সেটি ভালো লক্ষণ নয়। এটা শুধু আমার অনুভূতি, চিকিৎসাগত কোনো মন্তব্য নয়। এখনও তার সঙ্গে কথা হয়নি।
এই মৌসুম জুড়েই শুরুর একাদশে ইসাককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছেন স্লট। কারণ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে দলে আসা আরেক স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে নিয়মিত গোল পাচ্ছেন। ইসাকের বিপরীতে একিতিকে এখন পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে বেশ সফল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে লিভারপুলের হয়ে ১০ গোল করেছেন তিনি। স্পার্সের বিপক্ষে লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটিও করেন তিনি।
এদিকে বর্তমানে মিশরের হয়ে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে ব্যস্ত তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। পাশাপাশি জানুয়ারিতে হার্ভে এলিয়টের ক্লাবে ফেরার সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে। কারণ অ্যাস্টন ভিলায় ধারে গিয়ে তিনি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।
