কোপা বলিভিয়ার কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে ঘটেছে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা। ব্লুমিং ও রিয়াল ওরুরোর ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ছড়িয়ে পড়লে রেফারি একসঙ্গে ১৭ জনকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বহিষ্কার করেন।
বুধবারের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ব্লুমিং সেমিফাইনালে উঠে। কিন্তু ম্যাচের উত্তেজনাকে ছাপিয়ে যায় শেষ বাঁশির পর শুরু হওয়া সহিংসতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, খেলোয়াড়রা মাঠের এক পাশে জড়ো হয়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন উপস্থিত পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।
‘এল পোতোসি’ জানায়, ওরুরোর সেবাস্তিয়ান জেবায়োসকে থামানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি আবার মারামারিতে যোগ দেন। তার সতীর্থ হুলিও ভিলা ঘুষি ছুঁড়তেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়।
ওরুরো কোচ মার্সেলো রোব্লেদোও আরেকজন কোচের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়েন। পুরো মাঠজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ২০ জন পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। এ সময় ব্লুমিং কোচ মৌরিসিও সোরিয়া দ্রুত তার খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে পাঠান।
ম্যাচ রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্লুমিংয়ের ৭ ও ওরুরোর ৪ ফুটবলার সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। বাকি বহিষ্কৃতরা ছিলেন দুই দলের কোচিং স্টাফের সদস্য। এ ছাড়া ব্লুমিং ফরোয়ার্ড সিজার মেনাচো ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের জন্য লাল কার্ড দেখেন।
সহিংসতায় ওরুরো কোচ রোব্লেদো কাঁধে ও মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ব্লুমিংয়ের একজন কর্মকর্তা মারামারির সময় চোয়াল ভেঙে গুরুতর আহত হন। ঘটনাটির পর বলিভিয়ান ফুটবলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
