বায়ার্ন মিউনিখে দুর্দান্ত সময় কাটানোর পর জার্মান জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে সেখানে খুব একটা কূলকিনারা করতে পারেননি। পরে ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনাকেই বানিয়েছেন নিজের ফর্মে ফেরার সারথি। চলতি মৌসুমে তার অধীনে লা লিগা সহ তিনটি শিরোপা জিতেছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এর মধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং কোপা দেল রে’র ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে শিরোপা জয় করেছে বার্সেলোনা। লিগেও রিয়ালকে পেছনে ফেলেই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে দলটি।
দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব নিয়ে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য কীভাবে এনে দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্লিক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই ইতিবাচক থাকতে চেয়েছি এবং ট্রেনিং সেশনগুলোতে তা অনুভব করতে পেরেছি। বার্সেলোনার মতো ক্লাবে শিরোপা জিততে হয় এবং আমরা এবার তিনটি ট্রফি জিতেছি, যা দারুণ।’
‘আমার মনে হয়, বিশেষ করে মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে আমরা ছিলাম অসাধারণ। আমরা একটি ম্যাচও হারিনি, এটা স্রেফ দুর্দান্ত। গোটা দল, পুরো ক্লাব ও সমর্থকদের অভিনন্দন। যা কিছু অর্জন করেছি, আমরা খুবই খুশি’-যোগ করেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার এই দলটি অপেক্ষাকৃত তরুণ। তাদেরকে এক সুতায় গাঁথাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ফ্লিকের জন্য। আর সে পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন ৬০ বছর বয়সি এই কোচ।
কীভাবে এই তরুণ ফুটবলারদের সাফল্যের পাঠ দিয়েছেন তা ব্যাখ্যা করে ফ্লিক বলেন, ‘আমার মনে হয় না মৌসুমজুড়ে এটা ব্যাখ্যা করার ফুরসত খুব বেশি ছিল আমার, তবে দলে একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা, পারিবারিক আবহ গড়ে তোলায় অনেক জোর দিয়েছি আমি। তীব্র তাড়না ও দারুণ মানসিকতা নিয়ে অনেক কাজ করতে হয়েছে। এখন এই পরিবারকে দেখে দারুণ লাগছে। আমরা যেভাবে পরস্পরকে দেখভাল করি, এটা অনন্য। আমি উচ্ছ্বসিত।’