নাসিম রুমি: গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীই আত্মগোপনে চলে গেছেন বা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু একই পরিণতি কি হয়েছে ক্রিকেট কিংবদন্তি ও আওয়ামী লীগের হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা-র ক্ষেত্রে? অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া উল্লেখ করেছেন, মাশরাফি হয়তো তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
সজীব বলেন, তিনি সরাসরি মাশরাফি সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেননি— “আমার চোখে পড়েনি এমন কিছু,”— তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাশরাফি গত বছরের এক সাক্ষাৎকার ও সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপের ভিত্তিতে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকা থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেন, “তিনি ফেসবুকে স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি, তবে গত বছরই রাজনীতিতে নেই বলে একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।”
এ ছাড়াও, সজীব সাকিব আল হাসানের নামে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন— শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, অর্থনৈতিক অপরাধসহ পারিবারিক হুমকির সর্ম্পকে— এবং বলেন, এসব কারণেও বর্তমানে দেশের বাইরে থাকা বা রাজনৈতিকভাবে সচল নাও থাকা মানুষের বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন যে, “যদি মাশরাফি রাষ্ট্রিয় আইন লঙ্ঘন করে থাকেন, তবে আইন প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে আমার কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে মাশরাফি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন।”