তিন দিনের সফরে এখন ভারতে আছেন বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি। সফরের প্রথম দিনেই কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছেন গ্যালারিভর্তি দর্শক।
মেসিকে ঠিক মতো দেখতেই পাননি কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ফুটবলভক্তদের ক্ষোভের মুখে অনুষ্ঠানের আয়োজক শতদ্রু দত্তকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল জায়েদ শামিম বলেন, ‘এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে কোন ধারা দেওয়া হবে তা আমরা বিবেচনা করছি। বিশৃঙ্খলার ঘটনা সল্ট লেকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি এবং এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কারা দায়ী তা চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। এতে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধান উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে ইতোমধ্যে।’
সমর্থকদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার যৌক্তিকতাও আছে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ভক্তরা খুবই বাজে আচরণের শিকার হয়েছেন। এখানে কোথায় কী দুর্বলতা ছিল এবং তাতে কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে হবে। পুরো ঘটনাটিই ভালোভাবে তদন্ত করা হবে।’
এর আগে চরম অব্যবস্থাপনার জন্য মেসির কাছে ক্ষমা চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এক্সে দেওয়া তিনি লেখেন, ‘আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে বিচলিত ও মর্মাহত। আমি নিজেও হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমীর সঙ্গে প্রিয় ফুটবলার মেসিকে দেখতে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ছিলাম।’
মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে লিওনেল মেসি এবং সব ক্রীড়াপ্রেমী ও তার ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
মমতা জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব থাকবেন।
মমতা ব্যানার্জি লেখেন, ‘কমিটি এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে, দায় ঠিক করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকাতে সুপারিশ দেবে। আবারও সব ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে আমার আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা।’
