লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিদায়ের সময় যেন কাছে চলে এসেছে। তবে আর্জেন্টিনা ও বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা, ‘আরেকটু খেললে কী হয়?’ মেসির সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরা সবাই চাইছেন, তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু সময় নিয়ে আরও ভাবুন। কারণ এমন অবসরের জন্য আর্জেন্টিনা এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়।
এর আগে ২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মেসির। ২০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৯৩ ম্যাচে, গোল ১১২টি। তার ঝুলিতে রয়েছে বিশ্বকাপ জয়, আটটি ব্যালন ডি’অর, দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপা ও ২০০৮ সালের অলিম্পিক স্বর্ণপদক। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এক আলোকবর্তিকা হিসেবে মেসির অবদান অনস্বীকার্য।
৩৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দেশের মাটিতে সম্ভাব্য শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। মেসি নিজেই বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা আমার জন্য খুবই বিশেষ। এটা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ (আর্জেন্টিনায়)।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশ সময় ১০ সেপ্টেম্বর হবে, তবে সেটি বিপক্ষের মাঠে। তাই দেশের মাটিতে এই ম্যাচটিই মেসির জন্য সবচেয়ে আবেগঘন। তিনি বলেন, ‘এরপর আর কোনো প্রীতি ম্যাচ বা অন্য কিছু হবে কি না, জানি না। এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই থাকবে আমার সঙ্গে। আমরা একসঙ্গে উপভোগ করব। এরপর কী হবে, তা জানি না।’
অবশ্য মেসির দ্রুত বিদায়ের পক্ষে নন আর্জেন্টিনার সাবেক গোলরক্ষক ও তার এককালের সতীর্থ ফ্রাঙ্কো আরমানি। রিভার প্লেট ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আশা করি মেসি এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। সে ভাল করে ভাবুক। কারণ, কেউই তার বিদায়ের জন্য প্রস্তুত নয়। বৃহস্পতিবারের পর যেন সে আবারো চিন্তা করে।’
এখন পর্যন্ত আশা করা যায়, মেসি আগামী বছর বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবেন। সেখানে তার লক্ষ্য হবে আর্জেন্টিনার শিরোপা ধরে রাখা। এরপর কী হবে, সেটা কেবল মেসিই জানেন।