আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল গতকাল। এর মধ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে সিরিজ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেটে আফগানদের হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন টাইগাররা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি রোববার (৫ অক্টোবর) জিতলেই আফগানদের করা যাবে বাংলাওয়াশ।
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হয়েছে লড়াই। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানের সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৪ ওভার ৪ বলে ২৪ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তাদের ব্যাটে চড়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে আবারও দুজনের বিদায়ে চাপে পড়ে যান টাইগাররা। আরও একবার বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন নুরুল হাসান সোহান। শেষ দিকে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন শরিফুল ইসলামও। সোহান-শরিফুলের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে চলে যায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ জয়ও।
সোহানের ২১ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংসের প্রশংসায় মাতেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে সোহানের ইনিংস নিয়ে সিমন্স বলেন, আজকে সে (সোহান) দারুণ ইনিংস খেলেছে। এমন জায়গায় যখন জাকের-শামীম ফিরে গেল, সে সেখান থেকে আমাদের হয়ে খেলাটা শেষ করে এলো। ব্যাটারদের থেকে এটাই চাই আমি। যখনই সুযোগ আসবে যেন দায়িত্ব নিয়ে আমাদের ম্যাচ জেতায়।
প্রধান কোচ বলেন, প্রথমে বলব, ম্যাচ দুর্দান্ত ছিল। গতকালের ম্যাচ থেকে অনেক ভালো হয়েছে। আজকে উইকেট অনেক সময় ধরে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ফলে অনেক বেটার ম্যাচ হয়েছে।
ফিল সিমন্স বলেন, আমাদের বোলিং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে। যে কম্বিনেশনেই যাই না কেন, আমরা আমাদের বোলিংয়ের ওপর ভরসা করতে পারি, এটা আমরা জানি। বোলিং গত ৫-৬ সপ্তাহ ধরে অনেক ভালো হচ্ছে। এটা আমাদের গ্রোথের অংশ। বোলিং আমাদের দুই ম্যাচেই ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছে। আজকে তারা ভালো শুরু পেলেও মাঝে এবং বিশেষ করে শেষ দিকে আমরা ভালো বোলিং করেছি। ভালো জায়গায় বল করে যেতে হবে। শারজাহতে উইকেট টু উইকেট বল করে যেতে হবে। আমাদের বোলাররা সেটাই করেছে। স্পিনাররা ভালো করেছে। গতকাল ওপেনাররা দেখিয়েছে তারা কী করতে পারে। আজকে লোয়ার মিডল অর্ডার নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। এক্সাইটিং, অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
সিমন্স আরও বলেন, স্পিনারদের (বিপক্ষে) ভালোই খেলি আমরা। এটা আমাদের শক্তি। আজকে ভালোই করেছি। গতকাল সেভাবে পারিনি, পারলে ভালো হতো। আজ যেভাবে চেয়েছি তা করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, (হাসি) এভাবে জেতাটা আমার জন্যও ক্ষতিকর। ক্রিকেট এ রকমই আসলে। যদি শুরুতে জেতার পর আরও ক্লোজ ম্যাচ জিততে পারেন পরে আবারও ক্লোজ ম্যাচ আসলে আত্মবিশ্বাস পাবেন। ফলে এই ব্যাপারটা আসলে ভালো। তবে আমাদের কারও (স্বাস্থ্যের) জন্যই জিনিসটা ভালো নয়, আমাদের হার্ট এতকিছু সহ্য করতে পারবে না।