ইউরোপিয়ান দলবদলের বাজার এখনও চলমান। যদিও সময় খুব বেশি বাকি নেই। এরই মধ্যে মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলো এরই মধ্যে একাধিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তবে, কোনো কোনো ক্লাব এখনও তাদের দল সাজাতে বাজার থেকে ফুটবলার কেনার দিকে মনযোগী।
স্প্যানিশ লা লিগা জায়ান্ট বার্সেলোনা রক্ষণভাগে শক্তি বাড়াতে বদ্ধপরিকর। যে কারণে তারা মোনাকোর ব্রাজিলিয়ান ফুল-ব্যাক ভেন্ডারসনকে দলে টানতে আগ্রহী। তবে তাকে দলে নিতে হলে কোনো কিছু একটা ছাড় দিতে হবে তাদেরকে। ভেন্ডারসনকে নিতে হলে তাদেরকে কোনো বড় নামকে বিদায় করতে হবে। ইএসপিএনের একটি সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।
২৪ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভেন্ডারসনকে আগেও একাধিকবার বার্সার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল। তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা এবং প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের কারণে সেই আগ্রহ বাস্তবে রূপ নেয়নি।
ইনিগো মার্টিনেজ সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রক্ষণভাগে নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসার চিন্তা করছে কাতালান ক্লাবটি। তবে এজন্য বার্সেলোনাকে আগে বড় কোনো খেলোয়াড় ছাড়তে হবে। এরই মধ্যে ফারমিন লোপেজ, মার্ক ক্যাসাদো, রোনাল্ড আরাউহো ও আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের ব্যাপারে অন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে আগ্রহ শোনার কথা জানিয়েছে কাতালানরা।
কোচ হ্যান্সি ফ্লিক অবশ্য প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনো খেলোয়াড় ছাড়তে চান না। বর্তমানে রাইট সাইডে বার্সার ভরসায় রূপান্তরিত হয়েছে দুই সেন্টার-ব্যাক হুলেস কুন্দে ও এরিক গার্সিয়া। গত দুই মৌসুম ধরে কুন্দে ছিলেন কোচদের প্রথম পছন্দ, তবে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে কুন্দে চোট পাওয়ার পর ডানপাশে চমক দেখান এরিক। এ মৌসুমের শুরুতেও তিনিই মূল একাদশে ছিলেন।
ভেন্ডারসনকে পেলে ফ্লিক তাকে আক্রমণাত্মক বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং কুন্দে ও এরিককে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারবেন। জানুয়ারি ২০২২ থেকে মোনাকোতে খেলা ভেন্ডারসন নিয়মিতভাবে ব্রাজিল জাতীয় দলেও ডাক পাচ্ছেন।
বার্সেলোনা ও মোনাকোর মধ্যে সম্পর্কও ভালো, কারণ সম্প্রতি আনসু ফাতির লোন চুক্তিও হয়েছে এই দুই ক্লাবের মধ্যে।
অন্যদিকে, ভিয়ারিয়ালের তরুণ ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার এট্টা আয়ংকে ঘিরে বার্সার ভেতরেও আলোচনা চলছে। মৌসুমের শুরুতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তাকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে অনেকে মনে করছেন, এখনও বার্সার প্রথম দলে খেলার মতো পর্যায়ে পৌঁছাননি তিনি।
তবুও তাকে ‘বাজারের সুযোগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ তার বাই-আউট ক্লজ মাত্র ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে।