মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০টি পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় লাইভে সংযুক্ত ছিল- খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেশের সকল উপজেলার সাথে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আল ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা, থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গোপাল দও, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, দক্ষিণ ভাগ (দক্ষিণ) চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক লিটন শরিফ, আব্দুর রব, ইকবাল হোসেন স্বপন, কাজী রমিজ, জালাল আহমদ, তপন কুমার দাস, রুয়েল কামাল প্রমুখ।
অতিথিরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অসহায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমির কাগজ পত্র বিতরণ করা হয়।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অসহায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন ৯ লাখ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে।
সারা দেশে প্রায় ৮ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৯৭, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ হাজার ৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৯৭, রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৪, রাজশাহী বিভাগে ৯৬ হাজার ৫০৪, খুলনা বিভাগে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১১, বরিশাল বিভাগে ৮০ হাজার ৫৮৪ এবং সিলেট বিভাগে ৫৫ হাজার ৬২২টি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে তালিকায় থাকা এসব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দিচ্ছে সরকার।
ইতোমধ্যে ২১ জেলার ৩৬ উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্প গ্রামে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে একক গৃহ ও ব্যারাকে মোট ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ২৪ হাজার ৫৩৮টি পরিবারের জন্য মোট বরাদ্দ ৪১৯ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৮ হাজার ৫৮৬টি ঘর বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৯ দশমিক ৮২ কোটি টাকা।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ে সিভিআরপি প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৬৫টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ ৫২ দশমিক ৪১ কোটি টাকা। অতিরিক্ত পরিবহন বাবদ বরাদ্দ (প্রতিটি ঘরের জন্য ৪ হাজার টাকা) মোট ২৬ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প একক গৃহনির্মাণের সামগ্রিক কার্যক্রম সমন্বয় করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে একক গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে।