সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিড লাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পানির তীব্র সংকটে আছেন নগরবাসী। নগরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতেই এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন সিলেট নগরী।
এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পানির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নগরবাসীরা। অনেকে পানি সংগ্রহ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে আজ বুধবার নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর ভেতরের সব পুকুর ও সুরমা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা। শিশুসহ পরিবারের লোকজন সুরমা নদীর তীরে ভিড় করে পানি সংগ্রহ করছেন। যেখানেই সামান্য পানি মিলছে সেখান থেকে মানুষজন বোতল, বালতি ড্রাম সহ বিভিন্ন উপায়ে ভ্যানগাড়ি দিয়ে পানি সংগ্রহ করে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনেকের সাথে আলাপকালে কয়েকজন জানান, সন্ধ্যা থেকেই অনেকের বাসা বাড়িতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের বাসায় রান্না হয়নি পানির অভাবে। এ অবস্থায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁও ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিলেট মহানগরীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন জানান,মঙ্গলবার রাত থেকে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করছেন। আজ দুপুরের আগে মেরামত করা কিছু পিলার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিকেলের দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে বাকি এলাকায় কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন