English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

শাবিতে রণক্ষেত্র: আহত ৫০, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

- Advertisements -

জহিরুল ইসলাম: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।

রবিবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন এবং আগামীকাল দুপুর ১২ টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করেন।

রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তালা ভেঙে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে তার বাসভবনে পৌঁছে দেয় পুলিশ সদস্যরা। আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল এবং জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে একটু পিছু হটে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এর এক পর্যায়ে ২৫-৩০টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রায় ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় পুলিশের গুলিতে এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম আহত হয়েছেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তালা ভেঙে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে তার বাসভবনে পৌঁছে দেয় পুলিশ সদস্যরা।

ঘটনার পরে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির জানান, আমাদের অনেক শিক্ষক, ভিসি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। আমি সবার খোঁজ খবর না নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, ছাত্রী হলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে পানি, সিট, ইন্টারনেট, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের রিডিং রুমে আলোচনা করেন। ওই সময় তাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে প্রভোস্টকে হলে আসার অনুরোধ জানান তারা।

তখন প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থতার কথা জানালে ছাত্রীরা প্রভোস্ট বডির একজন সদস্যকে অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ জানান এবং বিষয়টি জরুরি বলে উল্লেখ করলে প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন