সিলেট ব্যুরো,নিরাপদ নিউজ: দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা এ স্লোগানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-সংস্থাগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহিতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিলেটে দুদকের ১৯১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় সিলেটের কবি নজরুল অডিটরিয়ামে শুরু হওয়া এই গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার হওয়া নাগরিকরা মোট ৭৩টি অভিযোগ সিলেট জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। পরে এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে যথাযথ নিষ্পত্তির আশ্বাস দেওয়া হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম প্রমুখ।
গণশুনানিতে স্বশরীরে হাজির হয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের কাজে ধীরগতি, অনিয়ম এবং সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের টিকিটের উচ্চমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানান।
এদিকে সকালে দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন,নির্বাচনী হলফ নামায় দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশি সম্পদের হিসাব বিবরণীও দিতে হবে।এ সময় তিনি বলেন, আমরা সম্পদের বিবরণী চাচ্ছি, সেখান বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে।
পাশাপাশি উনপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানান তিনি।দুদকের নানা সীমাবদ্ধতারা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার কৃষি সম্পত্তি ছিলো ৫.২১ একর, তবে আমরা অনুসন্ধান করে পাই ২৯ একর। সে সময় দুদক সেটি তদন্ত করে বের করলেও ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।এ সময় তিনি সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনার তদন্তে দুদকের উপর কোনো চাপ নেই উল্লেখ করেন।
