সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর শুক্রবার থেকে খুলেছে সিলেট বিভিন্ন বিপনী বিতান। বিপনী বিতানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। লকাউন ঘোষণার পর জরুরী সেবা ছাড়া সব ধরণের বিপনী বিতান ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। লকডাউন শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেটের দোকানপাট খোলার নির্দেশনা দেয় সরকার।
শনিবার ১০ এপ্রিল সিলেট নগরীর একাধিক বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দোকানে বিক্রেতাদের মুখে নেই মাস্ক। মাস্ক ছাড়া মার্কেটে প্রবেশ করছেন অনেক ক্রেতাও। সামাজিক দুরত্বও মানা হচ্ছে না।
নগরীর হাসান মার্কেট, আল হামরা, সিটি সেন্টার, মধুবন, ব্লু-ওয়াটার শপিং,শুকরিয়া মার্কেট,মিলেনিয়াম ও লন্ডন ম্যানশন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে কয়েকটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে জীবানুনাশক দিয়ে ক্রেতাদের হাত ধোয়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তাই আসন্ন পয়েলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য শপিং মল গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সিলেট মহানগর ব্যাবসায়ী ঐক্যকল্যান পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি পাবেল জানিয়েছেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আজ শনিবার থেকে ক্রেতাদের ভিড় ভেড়েছে। এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধিও কড়াকড়িভাবে মানা হবে।আমরা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই সকল শপিং মল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখার জন্য।