সিলেটে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষজনকে বাধ্য করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অভিযান। সিলেট জুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। রবিবার সকাল ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ন্ত্রনে করণীয় নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান, শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ,অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি দেবজিৎ সিংহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, সিসিকের প্রধান নির্বাহি বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. ময়নুল হক, ডিজিএফআই কর্নেল জিএস কর্নেল মো: মাহবুব হাসান, এনএসআই-এর উপ পরিচালক মো: তারিকুল ইসলাম, সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংসু লাল রায়, পরিচালক বিভাগীয় তথ্য অফিস জুলিয়া যেসমিন মিলি, সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল,সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকাস্থ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী,বেসরকারী হাসপাতাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাছিম আহমদ।
সভায় জানানো হয় সিলেটে ক্রমেই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবুও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোন সচেতনতা। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছে ‘নো মাস্ক’নো সার্ভিস।
‘নো মাস্ক’ নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ১০ নভেম্বর সারা দেশের ন্যায় সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবরে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। চিঠিতে সিলেটে জনসাধারণকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যানার টানানোসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করার পরও তেমন সাড়া না পাওয়ায় কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন