English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

কিশোরী পান্নাকে স্ত্রীর মতো ভোগ করতেন মোবাশ্বির, তাই ক্ষোভ থেকে খুন!

- Advertisements -

বছরের পর বছর কিশোরী পান্না বেগমকে স্ত্রীর মতো ভোগ করে আসছিলেন আব্দুল হক মোবাশ্বির (৫৯)। পান্নার বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর তখন  শুরু হয় তার উপর যৌন নিপীড়ন। এরপর মোবাশ্বিরের নিপীড়নে কয়েকবার গর্ভপাতও ঘটে পান্নার। এসব অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই মোবাশ্বিরকে খুন করেন পান্না। সিলেটে আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে (৫৯) খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। ১৯ বছরের তরুণী পান্না বেগম আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি আদালতে জানান- আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর জিম্মি করায় তিনি মোবাশ্বিরকে খুন করেন।

পান্না তার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, মোবাশ্বির আপাদ-মস্তক একটা লম্পট। মদ খেয়ে নারী নিয়ে ফুর্তি করাই ছিল তার নেশা। মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সে আমাকে যৌন নিপীড়ন শুরু করে। এরপর সেসব অপকর্মের ভিডিও রেকর্ড করে রাখে মোবাইলে। ওই ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি ও পরবর্তীতে বিয়ে করে বিদেশে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্ত্রীর মতো ভোগ করতে থাকে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিয়ের কাগজ তৈরি করে। পরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন মোবাশ্বির। এরপর দ্বিতীয় দফায় আবার গর্ভবতী হলে সেই দফায়ও সন্তান নষ্ট করে ফেলে। প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি, দুই দফায় সন্তান নষ্টের পরও স্ত্রীর সামাজিক মর্যাদা দেননি। বিয়ের পরও স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তাকে রেখে লাভ কী, এমন ধারণা থেকে মোবাশ্বিরকে খুন করেন পান্না।

রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ২য় আদালতের বিচারক সুমন ভুঁইয়ার কাছে এই স্বীকারোক্তি দেন পান্না বেগম। আদালতের নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন তথ্য দিয়েছে। স্বীকারোক্তির পর আসামি পান্না বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। স্বীকারোক্তিতে পান্না বেগম একাই আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে খুন করেছে বলে দাবি করেছেন। তার বর্ণনা মতে, মোবাশ্বিরের মদপানের অভ্যাস ছিল। ঘটনার দিন মদের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ায় পান্না। এরপর মোবাশ্বির পান্নাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ফুর্তি করার পর ঘুমিয়ে পড়ে। পান্না ঘুমন্ত মোবাশ্বিরের গলায় তার দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর আড়াইটায় দক্ষিণ সুরমার চান্দাই থেকে গ্রেফতার করা হয় পান্নাকে। তিনি দক্ষিণ সুরমার চান্দাইয়ের রবিউল আলমের মেয়ে। মোবাশ্বিরের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসাবে ছিল পান্নার বাবা মা। ওই সুযোগে শিশুকন্যা পান্নার ওপর কুনজর পড়ে মোবাশ্বিরের। শনিবার দক্ষিণ সুরমার ময়ুরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্ববর্তী আব্দুল হক মোবাশ্বিরের মালিকানাধীন হাউজিং প্রকল্পের টিনশেডেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। মোবাশ্বির মোগলাবাজার থানার সিলাম শেখপাড়ার মৃত ফজলুল হকের ছেলে। শনিবার রাত ১০ টায় মোবাশ্বিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় মোবাশ্বিরের বড় ভাই মুহিবুল হক দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। মোবাশ্বির লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা ও সিলেট জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত তালাত আজিজের মেজো ভাই। তিনি লন্ডনে থাকতেন। গত কয়েক বছর তিনি দেশে অবস্থান করছিলেন লন্ডনে স্ত্রী সন্তান রেখে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন