English

28 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

বন্ধ করুন ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া: কুমিল্লায় সড়কের গাছ নিধন

- Advertisements -
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক গাছ থাকা প্রয়োজন। কারণ মানুষ অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না, আর গাছ সেই অক্সিজেনের জোগান দেয়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গাছের ভূমিকা অপরিহার্য। সেই সঙ্গে ফল, পাতা, কাঠ, ঔষধি সেবাসহ কতভাবেই না গাছ আমাদের জীবনকে সহজ করছে। অথচ আমাদের মধ্যে কিছু লোভী মানুষ সুযোগ পেলেই বৃক্ষনিধনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রভাবশালী গাছখেকোরা সুযোগ পেলেই রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে নেয়।বনের কাছে গড়ে ওঠা করাতকল ও ইটভাটাগুলো বন সাবাড় করে। সরকারি দপ্তরের লোকজন কোনো একটা অজুহাত পেলেই আগে হাত দেয় গাছের ওপর। অভিযোগ আছে, গাছ বিক্রি থেকে তাঁরা বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন। গণমাধ্যমে এমনও খবর এসেছে যে চার শতাধিক গাছ বিক্রি হয়েছে মাত্র আড়াই লাখ টাকায়।

এমন পরিস্থিতিতে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কুমিল্লার ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোডের (পূর্বের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) দুই ধারে থাকা শতবর্ষী গাছ থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে লাগানো গাছও কেটে ফেলা হচ্ছে। প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এরই মধ্যে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

প্রায়ই দেখা যায়, রাস্তার পাশের গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন কিছুই মানা হয় না। সামাজিক বনায়নের আওতায় লাগানো গাছের ক্ষেত্রে যাঁরা গাছ লাগান ও পরিচর্যা করেন তাঁরা বিক্রীত অর্থের একটি অংশ পান। অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকও একটি অংশ পান। সেসব গাছ বিক্রির জন্য অংশীজনদের মতামত নিতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা করা হয় না।

কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সওজ জায়গার মালিক হলেও গাছের মালিক বন বিভাগ। এই গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে, কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। সওজকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হলেও তারা তা শোনেনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন