English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

ভর্তি জটিলতা দূর করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি

- Advertisements -
Advertisements

সম্প্রতি এইচএসসি ২০২২ ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর উত্তীর্ণের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।

Advertisements

এই ১০ লাখ শিক্ষার্থী এবার উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হতে যাচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এর বাইরে ভর্তি করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তির আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৫ জুন। এই ভর্তি কার্যক্রমের আট মাস পূর্ণ হলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেশনে দীর্ঘসূত্রতা এই ভর্তিপ্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।

গত বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিতে আসনসংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৬৬৮। এসব আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে দুই লাখ ৯৭ হাজারেরও বেশি, যেখানে আসনসংখ্যার কয়েক গুণ বেশি শিক্ষার্থী যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পরও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় থাকা কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য আসন পূরণে আট থেকে ১২ বার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ১৯৫টি আসন ফাঁকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গত ৩১ জানুয়ারি অষ্টম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও ১৯০টি আসন পূরণ করতে পারেনি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন পূরণে গুচ্ছে আটবার মেধাতালিকা প্রকাশ ছাড়াও দুবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিভিন্ন কোটায় ১০০টি আসন থাকলেও শর্ত পূরণ করে মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
আসন ফাঁকা থাকার চারটি কারণ দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে মাইগ্রেশনে ধীরগতিকেই মূল কারণ হিসেবে দায়ী করেন তাঁরা। এ ছাড়া রয়েছে একজন শিক্ষার্থীর একাধিক আসন ধরে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে না পারা, শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় না পাওয়া এবং প্রতিটি জেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়া।

শিক্ষার্থীদের দুর্দশা কমাতেই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। একসময় তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হতো। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এটা ছিল বড় ধরনের মানসিক চাপ। কিন্তু এখন এই গুচ্ছ ভর্তিই যেন শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বিড়ম্বনার কারণ হয়েছে।

গুচ্ছে ভর্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আসলে শিক্ষার্থীবান্ধব, তা প্রমাণ করতে হবে। সব সমস্যা দূর করে দ্রুত সমাধানে আসতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন