English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক: মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা

- Advertisements -
দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কায়দায় চলছে দখলদারি। কোথাও নদী বা খাল দখল করে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের। কোথাও নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। খোদ রাজধানীতেই বিভিন্ন খাল চলে গেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে।
শুধু রাজধানী বা বড় শহরগুলোতেই নয়, সারা দেশেই নদী-খাল-জলাশয় দখলের হিড়িক লেগেছে। যে যেভাবে পারছে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। নদী বা খালের প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।
এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে সরকারি সংস্থাকে বাধা দেওয়া হয়। কোথাও ভেঙে ফেলা হলে রাতারাতি গড়ে তোলা হয় নতুন ভবন।
দেশে দখলবাজি প্রভাব-প্রতিপত্তির লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের জমিই দখল করা হচ্ছে।
সরকারি জমি দখল করা যেন ব্যক্তিমালিকানার জমি দখল করার চেয়েও সহজ। বাদ যাচ্ছে না অধিগ্রহণ হওয়া জমিও। এমনই একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দোকানঘর বানিয়েছে।
মোটা অঙ্কের টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানঘরগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী লেনের মাঝখানের জমিও দখল করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেখানে টিনের অর্ধশতাধিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরেও মহাসড়কের আশপাশে দুই শতাধিক দোকানঘর বানানো হয়েছে সওজের জমিতে।
২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সওজের জমি থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু সেই অভিযানের এক মাসের মধ্যেই একের পর এক দোকানঘর তোলে প্রভাবশালীরা। বরং বর্তমানে দখলদারি আরো বেড়েছে।
এই দখলদারদের মধ্যে আছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী অন্তত ২৫ জন সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছে। এখানে প্রতিটি দোকানের ভাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি দোকান বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। এসব দোকান থেকে মাসে ৩০ লাখ টাকার বেশি ভাড়া ওঠে।
এসব জায়গা দখল করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরা যুক্তিও দেখিয়েছে। তারা বলছে, সিএস খতিয়ানে এসব সম্পত্তি তাদের বাপ-দাদাদের। যত দিন পর্যন্ত সরকারের কাজে না লাগবে, তত দিন তারা এই সম্পত্তি ভোগ করবে।
যেহেতু তারা এই সম্পত্তির মালিক ছিল, তাই যত দিন এই সম্পত্তি ফাঁকা থাকবে, তত দিন তারাই ভোগদখল করবে। দখলদাররা এটাও জানাচ্ছে, অধিগ্রহণের কয়েক বছর পর থেকেই সেখানে দোকানঘর তোলা হচ্ছে। পুরো বাজারে টিনের চালার যতগুলো দোকানঘর আছে, তার সবই সওজের সম্পত্তির ওপর নির্মিত হয়েছে।
সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় দোকান ভেঙে ফেলতে পারবে—এমন শর্তেই তারা দোকানঘর তুলে ভাড়া দিয়েছে।
সওজ সূত্র বলছে, মহাসড়কের নিমসার বাজার ও আশপাশের অংশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, সবই তাদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে। এর আগেও একাধিকবার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু পরে আবার তা দখল হয়েছে।
অবিলম্বে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন