English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

আমেরিকার ইসরায়েল-গাজা নীতি কি বদলাচ্ছে?

- Advertisements -

গাজা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে আমেরিকা ভোট দেয়নি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

গাজায় এই মুহূর্তে সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু আমেরিকা ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সোমবারের ভোটে আমেরিকা ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। আমেরিকার এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

আমেরিকার অবস্থান বদলাচ্ছে

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। কিন্তু জাতিসংঘে গাজা সংঘর্ষ নিয়ে আমেরিকা সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। বস্তুত, রাশিয়াও একবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, আমেরিকা সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ আমেরিকা চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তা-ই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এ ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।’

এদিকে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফা ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’

তার দাবি, আমেরিকা গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি। কারণ প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দিদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি সকলেই হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।

এদিকে, নেতানিয়াহু বলেছেন, আমেরিকার এই কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করা আরও সমস্যার হবে বলে মনে করেন তিনি।

নেতানিয়াহুর কথায়, ‘এর ফলে সংঘর্ষ-বিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের উপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন