শেরপুরে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই মেম্বারের নাম আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরিফ সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। ওই মেম্বার খামার পাড়া এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে।
ভিকটিমের পারিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ও ওই মেম্বার প্রতিবেশী। প্রতিবেশী ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার সূত্রে আরিফ ভিকটিমের বাড়ীতে আসা যাওয়া করত।
এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর উপর মেম্বারের কুনজর পড়ে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ মেয়েটি ইতিপূর্বে অভিভাবকদের জানিয়ে ছিল। ঘটনার দিন গত ১১ অক্টোবর রাতে আরিফ গোপনে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিমের মুখ বেঁধে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সূত্র জানায়, মেম্বার প্রভাবশালি হওয়ায় বিষয়টি কয়েক দফায় ধামাপাচা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
বিষয়টি পুলিশের কানে আসলে পুলিশ ভিকটিমের মাসহ অভিভাবকদের থানায় এনে বিস্তারিত শুনে। গতকাল শনিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।মামলায় অপর আরেকজন চান মিয়া নামে একজনকে মেম্বারের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি বছির উদ্দিন বাদল জানিয়েছেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ চেষ্টায় আছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।