বসবাসযোগ্যতার বিচারে এ বছর ঢাকার অবস্থানের সামান্য উন্নতি হয়েছে। তালিকায় এ বছর বিশ্বের ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। অর্থাৎ নিচের দিক থেকে সপ্তম। আগের বছর ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭তম, নিচের দিক থেকে চতুর্থ।
বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে কিংবা নিকৃষ্টতম শহরগুলোর মধ্যে ৭ নম্বরে থাকা যে মোটেও গৌরবজনক নয়, তা প্রায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন। অথচ দীর্ঘকাল ধরেই ঢাকার অবস্থান এমনই। ২০১৩ সালেও ঢাকা ছিল নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ কেন নিচের দিকে এভাবে পড়ে থাকছে? কয়েক বছরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কিছুটা উন্নতি হলেও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিচারে আমরা পিছিয়ে আাাছি। খুন, ধর্ষণসহ ভয়ংকর অপরাধের মাত্রা অনেক বেশি। মানুষের নিরাপত্তার অভাব আছে।
পরিবেশদূষণের চিত্র ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষিত রাজধানী শহর। চিকিৎসা ও শিক্ষার সহজলভ্যতা ও মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। যানজটে এখনো নাকাল হতে হয়। গণপরিবহন সহজলভ্য নয়, মানও খুব খারাপ। নাগরিকদের বিনোদন ও ভ্রমণের সুযোগ খুবই কম। জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার বসবাসযোগ্যতার খুব বেশি উন্নতি হবে, এমনটা আশা করাও হবে বাতুলতা।
নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকে এ জন্য পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে। ঢাকার বসবাসযোগ্যতা উন্নয়নে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।