English

37 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

এন্ড্রু কিশোর প্রসঙ্গে কনকচাঁপা: আমরা কি তাকে সঠিক সম্মান দিয়েছি?

- Advertisements -

১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে নন্দিত, কালজয়ী গানের তালিকাও এতো লম্বা যে, অনেক শিল্পীর গোটা ক্যারিয়ারের চেয়ে তা ভারি। আর তাই যথার্থভাবে তাকেই বলা হয় দেশের প্লেব্যাক সম্রাট।

হ্যাঁ, তিনি এন্ড্রু কিশোর। শনিবার (৪ নভেম্বর) কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। যদিও বছর তিন আগেই তিনি বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। কিন্তু ক্যালেন্ডার ঘুরে ৪ নভেম্বর এলেই তার জন্য মন কেঁদে ওঠে শ্রোতাদের, তার সহশিল্পীদের।

এন্ড্রু কিশোরের অন্যতম সহশিল্পী কনকচাঁপা। তারা জুটি বেঁধে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। প্লেব্যাক সম্রাটের জন্মদিনে এই গায়িকা কিছুটা আক্ষেপের সুরেই তাকে স্মরণ করলেন। বললেন, “আমাদের একজন কিশোরদা ছিলেন, যিনি আমাদের অনেক দিয়েছেন।

Advertisements

কিন্তু আমরা কি তাকে সঠিক সম্মান দিয়েছি? স্টেডিয়ামে বিশাল করে একটা এন্ড্রু কিশোর নাইট করে রাতভর তার গান পেটভরে, হৃদয় ভরে শুনেছি! এখন কোটিবার উচ্চারণ হয় ‘বড্ড অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়ে গেলো! তাতে তার আর কিছুই আসে যায় না। যায় কি?”

এর আগে এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করে কনকচাঁপা বলেছেন, ‘আমাদের এন্ড্রু কিশোর। আমি বলি গলিত সোনার নহর। তিনি দৈহিকভাবে কত বছর হয় চলে গেছেন, আমি তা গুনি না। ভাবতেই ভালো লাগে না যে, তিনি নেই।

তার গান আকাশ, বাতাস, পাতাল, নদী, সাগরে ভাসে। আমার তো মনে হয় পৃথিবীর আনাচে কানাচে যেখানেই বাংলা ভাষাভাষী আছেন, সেখানেই প্রতি সেকেন্ডেই কারও না কারও কাছে তার গান বাজে। কেউ গায়, কেউ গুনগুন করে, কেউ শেখার চেষ্টা করে; কেউ তাকে, কেউ তার গান, তার কণ্ঠ নিয়ে গবেষণা করে।’

বিষণ্ণ মনে কনকচাঁপা জানালেন, ‘আমি ভাবতেই চাই না, তিনি নেই; তবুও আমি মানুষ! তার অনুপস্থিতি আমাকে বিষণ্ন করে। হঠাৎ আনমনা হয়ে ভাবি, একদিন ওনাকে মজার রান্না করে খাওয়াবো। পরক্ষণেই সম্বিত ফিরে পাই, বাস্তবে ফিরে এসে বুঝি তিনি নেই এবং কী হারালাম!’

Advertisements

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। তার পুরো নাম এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ। মা ছিলেন সংগীতানুরাগী, কিশোর কুমারের ভক্ত। সেই সূত্রেই ছেলের নাম রাখেন কিশোর। বড় হয়ে ছেলে তাই মায়ের স্বপ্ন পূরণে গানের ভুবনে পা রাখেন আর রচনা করেন ইতিহাস।

মূলত সিনেমার গানের শিল্পী (প্লেব্যাক গায়ক) হিসেবে কালজয়ী এন্ড্রু কিশোর। ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় আলম খানের সুরে প্রথম গান করেন তিনি। তবে শ্রোতামহলে তার কণ্ঠ ছড়িয়ে পড়ে ১৯৭৯ সালের ‘প্রতিজ্ঞা’ সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে।

তার গাওয়া কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছোঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘সব সখিরে পার করিতে’, ‘ও সাথীরে’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’ ইত্যাদি।

শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে এন্ড্রু কিশোর ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও রয়েছে তার অর্জনের খাতায়। ২০২০ সালের ৬ জুলাই মারা যান এই কালজয়ী শিল্পী।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন