English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফুসফুসের যত্ন

- Advertisements -

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সুস্থতাকে গুরুত্ব দিলেই বা ক্ষতি কী! তাই করোনাকালে নিয়মিত ফুসফুসের প্রতি হয়ে উঠুন আরও বেশি যত্নবান। সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ, তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এর ধারণক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স যখন ৪০, তখন থেকেই ফুসফুসের প্রতি বেশি খেয়াল রাখা দরকার। কম বয়স থেকেই সেই যত্নের পাঠ শুরু হলে ভবিষ্যতে তা আরও ভালো ফলদায়ক হবে।

ফুসফুস যত্নে করণীয়

শরীরের গঠন অনুযায়ী নারীর তুলনায় পুরুষের ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বেশি হয়। কিন্তু দীর্ঘ অনিয়ম ও অযত্নে তা কমতে পারে। আবার একটু বেশি যত্ন নিলে নারীর ফুসফুসেরও ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তাকে সুস্থ রাখা যায়। তাই ফুসফুসের যত্নের প্রশ্নে নারী-পুরুষ উভয়কেই হতে হবে সচেতন। নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে। বিশেষত হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম উপকারী। এ ছাড়া এতে শিথিলায়ন হয় বা মানসিক চাপ কমে। পাশাপাশি ফুসফুসকে সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের একটা বড় ভূমিকা আছে। বিশেষ করে বয়সের ভারে বা পরিবেশ দূষণে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রশ্নে যারা একটু দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের যত্নের কথা মাথায় রেখেই সাজাতে হবে ডায়েট চার্ট। ফুসফুসের যত্নে কী কী করণীয় জেনে নিন।
♦ ফুসফুসে নিকোটিন ও কার্বনের নানা যৌগ ফুসফুসে পৌঁছে তার চরম ক্ষতি করে। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে ধূমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করুন।

♦ শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ফুসফুসের স্বাস্থ্য তথা পুরো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২-৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। এতে রক্তের ঘনত্ব ঠিকঠাক থাকে বলে সারা শরীরের সঙ্গে ফুসফুসেও রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফুসফুসের শ্লেষ্মা পাতলা থাকে। ফলে বাতাসের বিষ, জীবাণু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বার করে দিতে সুবিধে হয়। এছাড়া ফুসফুসের মিউকোসাল লাইলিংগুলোকে সরু ও কার্যক্ষম করে তুলতে পানির ভূমিকা অপরিসীম।

♦ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো। অতএব, সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলা খান নিয়মিত। প্রোটিন একটু বেশি করে খান। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।

♦ পুষ্টিবিদদের মতে, কার্বোহাইড্রেট সুষম খাবারের অঙ্গ। তাই একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কার্বোহাইড্রেটের ধরন পাল্টে নিন। সাধারণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বদলে নিন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। কম স্টার্চ আছে এমন শাক-সবজি বেশি খান। আলু, পটল, কুমড়া, গাজর ইত্যাদি খান। খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরও ভালো।

♦ মেরুদন্ড সোজা করে বসে চোখ বন্ধ করে পর পর কয়েকবার গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসবে। প্রথমে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনবেন, তার পরের বার দুই, এভাবে পাঁচ পর্যন্ত। তার পর আবার নতুন করে এক দিয়ে শুরু করবেন। এ ব্যায়ামটি দিনে ১০ মিনিট করবেন। এটি এক ধরনের মেডিটেশন বা ধ্যান।

♦ বুক ভরে লম্বা নিঃশ্বাস নেওয়া আর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ার ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে আরও মজবুত, কার্যকরী করবে। যখন আমরা বুক ভরে শ্বাস নিই তখন আমাদের পাঁজরের হাড় বা রিবস বাইরের দিকে সরে আসে পাশাপাশি ডায়াফ্রামের পেশি সংকুচিত হয়ে নিচে নেমে যায়, ফলে আমাদের ফুসফুস প্রসারণের জন্য যথেষ্ট জায়গা পায়, আবার যখন নিঃশ্বাস ছেড়ে দিই তখন রিবস এবং ডায়াফ্রামের পেশি আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এভাবে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ফলে আমাদের শরীর অতিরিক্ত অক্সিজেন পায় যা আমাদের শরীরকে বেশি বেশি শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি আর স্ট্রেস দূর করে। সময় পেলেই আমাদের উচিত এভাবে বুক ভরে একটু লম্বা সময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার এক্সারসাইজ করা।

লেখা : হেলথ ডেস্ক

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন