English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

গুজব-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

- Advertisements -

গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন বর্তমানে জনসচেতনামূলক বিভিন্ন স্পট ও ফিলার নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে। প্রচার করা অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘গুজবে কান দিবেন না’, ‘গুজবে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে পুলিশ-র‌্যাব’, ‘গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন’, ‘বিশেষ সতর্কী গুজব ছড়াবেন না (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম), ‘গুজব ছড়াবেন না আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না’ ইত্যাদি।

বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকার বিশ্বাস করে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৪৫ থেকে এক হাজার ৩০০ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি মিডিয়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পত্রিকা গুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের সুযোগ দিয়ে সংবাদপত্রকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিককে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যা সারা দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। তাছাড়া নিয়মিতভাবে সরকার অসুস্থ অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। করোনাকালে সমস্যা মোকাবেলায় সারা দেশে তিন হাজার সাংবাদিককে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যা উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে করা হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নকারী সংবাদপত্রকে বিনাশুল্কে নিউজপ্রিন্ট প্রদান করা হয়।

ইউরিয়া সারের চাহিদা 
বর্তমানে দেশে  ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। সরকারী দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের কারখানাগুলোতে উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৪ মেট্রিন টন। অবশিষ্ট চাহিদা মেটাতে কাফকো (বাংলাদেশ) ও বিদেশ থেকে আমদানি হয়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন