English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

চুরির ‘অপবাদে’ মারধর, স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

- Advertisements -

বগুড়ার দুপচাঁচিয়াতে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে ইসমাইল হোসেন (১৭) নামে স্কুলছাত্র। ইসমাইল উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বনতেঁতুলিয়া গ্রামের প্রবাসী বুলু প্রামাণিকের ছেলে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুপচাঁচিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনাতন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইসমাইল এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বনতেঁতুলিয়া গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আলাউদ্দিনের তিন জোড়া কবুতর হারিয়ে যায়। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে আলাউদ্দিনের ছেলে মেহেদী তার দুই চাচাতো-ফুপাতো ভাই শাকিল ও মানিকসহ ইসমাইলের বাসায় গিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। ইসমাইলকে ওই গ্রামের পরিত্যক্ত একটি দোকানে নিয়ে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে তারা বেধড়ক মারধর করা হয়।
একপর্যায়ে ইসমাইলের মা ফাতেমা, চাচি ও দাদা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদীদের কাছে অনুরোধ করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরে দুপুর ১২টার দিকে আলাউদ্দিনের বাড়িতে এ নিয়ে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে সালিস বসে। বিচারে কবুতর চুরির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন আলাউদ্দিনের ছেলে মেহেদী। একপর্যায়ে সাবেক স্থানীয় ইউপি সদস্য মনসুর আলীর মধ্যস্ততায় ১২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণে উভয় পক্ষ রাজি হয়। ইসমাইলের মা বিকেলের মধ্যে ১২ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এর মধ্যে মেহেদী ও তার ভাইয়েরা মিলে ইসমাইলকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ অপমান সইতে না পেরে ইসমাইল ওই দিন বিকালেই গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। একপর্যায়ে বাড়িতে এসে সে বমি করতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শজিমেক নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর আলী জানান, উভয় পরিবারের মীমাংসার জন্য আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবে মারধরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
দুপচাঁচিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি আমারা অবগত আছি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন