English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

জন্ম ও প্রয়াণ দিবসে রংপুরে উন্মোচিত হলো বেগম রোকেয়ার ‘ভাস্কর্য’

- Advertisements -

নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্ম ও প্রয়াণ দিবসে রংপুরে উন্মুক্ত করা হলো তার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’। তবে জমকালো কোনো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নয়, কিছুটা দায়রাসাভাবেই বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভাস্কর অনীক রেজার হাত দিয়ে নগরীর শালবন ইন্দ্রার মোড়ে নির্মিত বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করা হয়।
ভাস্কর অনীক রেজা জানান, সিটি কর্পোরেশন থেকে তাকেই ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করার জন্য বলা হয়। এজন্য ছোট পরিসরে তিনি ভাস্কর্য উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি নেন।
এ সময় সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এবং রংপুরের কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি ও লেখক উপস্থিত ছিলেন। তবে সিটি কর্পোরেশনের ব্যয়ে এটি নির্মিত হলেও উদ্বোধনের সময় তাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরের শালবন ইন্দ্রার মোড়ে বিগত সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর আমলে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছিল। এরপর ধীরগতিতে চলা নির্মাণ কাজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। মাটি থেকে শুধু উঁচু বেদি তৈরির পরে কয়েকটি ইটের পিলার ছাড়া তখন আর কিছুই ছিল না। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা বেদিটি ভরে ছিল ধুলোবালি আর বিভিন্ন ফেস্টুন পোস্টারে।
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সেই বেদিটি দেখে হতাশ হয়েছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন মহল থেকে তখন ওই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। অবশেষে বছর তিনেক বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় নির্মাণ কাজ।
জানা গেছে, ‘আলোকবর্তিকা’ ভাস্কর্যটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটির উচ্চতা মাটি থেকে ২০ ফুট। এরমধ্যে শুধু পাথর-কংক্রিট থেকে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার প্রতিকৃতি লম্বায় প্রায় ১২ ফুট। আর বেদির চারদিক জুড়ে ৫০ স্কয়ার ফুট।
পাথরের ভেতর থেকে সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার এই ভাস্কর্যটিতে জন্ম-মৃত্যু সন উল্লেখসহ তার লেখা কিছু বই ও বাণী রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন