English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

জাতীয় সংসদ ও জাতীয় মসজিদে শুটিংয়ের অনুমতি চান মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

- Advertisements -

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে শুটিং করতে চান নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গতকাল রাতে দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানান তিনি। তার মতে, এমন আইকনিক জায়গায় যে কোনো নির্মাতাকেই শুটিংয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া উচিৎ। তাতে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আরও সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম ইংরেজি ছবি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর শুটিংয়ের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মিশেল মেগান, বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও এই ছবির অন্যতম প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা।

অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে ‘টেলিভিশন’ নির্মাতা লিখেন, গণমাধ্যমে সিডনি ওপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজ এতো বেশি উঠে এসেছে যে, এখন অস্ট্রেলিয়ার নাম উচ্চারিত হলেই সবার চোখে এগুলোর ছবি ভাসে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার যদি এসব স্থানে ছবি তোলা কিংবা শুটিং নিষিদ্ধ রাখত, এমনটা হতো না।

ফারুকী লিখেছেন, “আমাদের একটা সংসদ ভবন আছে। যেটা সারা পৃথিবীতে একটা আইকনিক স্ট্রাকচার হিসাবে আমরা হাজির করতে পারতাম। কিন্তু আপনি সেখানে শ্যুট করতে পারবেন না কারণ সেটা কেপিআই জোন। বিশেষ অনুমতি নিয়ে শ্যুট করা সম্ভব যেটা অনেকের পক্ষেই পাওয়া কঠিন। তাই বলি, আপনি আপনার দেশের সেরা জায়গাগুলোতে যদি শ্যুট না করতে দেন, তাহলে তো আপনার আফসোস করা উচিত না যে ‘তোমরা বাংলাদেশকে প্রপারলি দেখাও না’। ”

হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলো অন্য দেশের নির্মাতারা নান্দনিক রূপে তুলে ধরেন। তুলনায় বাংলাদেশে মুসলিমদের ধর্মীয় আচার সেভাবে পর্দায় উঠে আসে না। ফারুকী তার পাঠকদের কাছে প্রশ্ন রেখে আরো লিখেন, ‘আমার (ছবির) একটা দৃশ্যের জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে শ্যুট করা দরকার, যেখানে দেখা যাবে হাজার হাজার লোক একসাথে জুমা আদায় করছে। একটু জোগাড় করে দিতে পারবেন? আপনি মসজিদে শ্যুট করতে দেবেন না, কিন্তু চাইবেন আপনার ধর্মের সুন্দর রিচুয়ালগুলা মানুষ জানুক, সেটা কিভাবে হবে? আপনার প্রার্থনার সুন্দর এবং পবিত্র জায়গার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে সেটার সৌন্দর্য কমে না, পবিত্রতাও কমে না। বরং অনেকের কাছে সে সৌন্দর্য পৌঁছানোর একটা রাস্তা হয়। সংসদ ভবন বা এইরকম বিশেষ স্থাপনার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে এর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় না। আজকাল গুগল ম্যাপেই সব টার্গেট দেখা যায়। শ্যুটিংয়ের ফুটেজ থেকে ছবি নিয়ে নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করতে হয় না। ’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কীভাবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে শুটিংয়ের বন্দোবস্ত হয়, সেই তথ্যও দিলেন ফারুকী। কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘দয়া করে শুটিংয়ের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দেন। একটা ফিল্ম কমিশন গঠন করেন যেখানে লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক থাকবে। যার যেখানে শ্যুট করা প্রয়োজন সেটা উল্লেখ করে ওই কমিশনে আবেদন করবে। সাথে নির্ধারিত ফি-ও জমা দেবে। এবং তিন কার্য দিবসের মধ্যে তাদের অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। সাথে ধরিয়ে দিতে পারেন লোকেশনের স্পেপিসিক নিয়ম কানুন। ব্যস, সব কিছু সুন্দর একটা সিস্টেমে চলে আসলো। সারা পৃথিবীতেই এই ফিল্ম কমিশন এবং লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক আছে। দয়া করে আমাদের এখানেও এটা চালু করেন। ’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন