নাসিম রুমি: কোপেনহেগেন থেকে আগের লেগটা ম্যানচেস্টার সিটি জিতে এসেছিল ৩-১ গোলে। ইতিহাদে বুধবার রাতে বিরতিতে যাওয়ার আগেই আবারও স্কোর ৩-১ করে ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধেও স্কোরলাইন একই থাকে।
ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ম্যানসিটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির পরের ম্যাচটা লিভারপুলের বিপক্ষে, অ্যানফিল্ডে। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম লেগে এগিয়ে থাকা বা পরবর্তী ম্যাচটা হতে পারে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী, সে কারণেই কেভিন ডি ব্রুইন, ফিল ফোডেন, কাইল ওয়াকারদের বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের দুই ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হালান্ড। বুধবার শুরুর একাদশে নেমে দারুণ খেলেন। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আলভারেজের পাস থেকে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এর চার মিনিট পরেই আলভারেজ নিজেই ব্যবধান বাড়ান।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ ম্যাচে ৫ গোল হলো আলভারেজের। অ্যাসিস্ট দুটি।
২৭ মিনিটে ড্যানিশ উইঙ্গার মোহাম্মদ এলিওনোসির গোলে এক গোল শোধ করে কোপেনহেগেন। তবে প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে রদ্রির পাস থেকে আর্লিং হালান্ডের গোলে আবার ব্যবধান বেড়ে ৩-১ হয়।
তাতে এক রেকর্ডেও নাম ওঠে ম্যানসিটির। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে টানা ৯ ম্যাচ অন্তত ৩টা করে গোল করা প্রথম ক্লাব ম্যানসিটি।
চলতি মৌসুমে ৭ ম্যাচে ৬ গোল হলো হালান্ডের। নওরোজিয়ান এই স্ট্রাইকার চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল সংখ্যায় সিটির কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। আগুয়েরো চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল ৭৯ ম্যাচে ৪১টি। হালান্ড ছুঁলেন মাত্র ৩৭ ম্যাচে।