English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

পর্যটন খাতে দৃষ্টি দিন: অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ান

- Advertisements -
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত হতে পারে পর্যটন। বিদেশিদের আগমন আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ব্যবসাকে চাঙ্গা করে, কর্মসংস্থান বাড়ে। সারা বিশ্বে ছড়ায় দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি। পৃথিবীর বহু দেশের সমুদ্রসৈকত নেই, ম্যানগ্রোভ বন নেই। এত নদী, পাহাড়, ঝরনা, ঐতিহ্যবাহী মসজিদ-মন্দিরেরও দেখা মেলে না অনেক দেশে। সেসব ভূখণ্ডের মানুষের ভ্রমণের অন্যতম কেন্দ্র হতে পারত বাংলাদেশ। যথেষ্ট পর্যটন স্পট থাকার পরও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছি না আমরা।প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, দেশের পর্যটন গন্তব্যগুলোতে বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশি পর্যটক আসা কমে যাচ্ছে। কম খরচে ভ্রমণ ও বিনোদেনের সুবিধা পেয়ে পর্যটকরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের পর্যটকরাও উচ্চ ব্যয়ের কারণে এবার কক্সবাজারসহ দেশের প্রধান গন্তব্যগুলো এড়িয়ে পাশের দেশে ঈদের ছুটি কাটাতে গেছে।
পর্যটন খাতে যখন এশিয়ার অন্য দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা দেশের এই অপার সম্ভাবনাময় খাতটিকে অবহেলা করে চলেছি। ২০১৫ সালে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও কাজ খুব একটা এগোয়নি। আমাদের কি ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডাটাবেইস আছে? ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট, কোয়ালিটি ট্যুরিজম সার্ভিস, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ও গবেষণা সেল কি করতে পেরেছি আমরা?খাতসংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, সরকারের উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটনের যথেষ্ট প্রতিফলন না থাকায় দেশের পর্যটনশিল্প এগোতে পারছে না। পর্যটনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি তো আছেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোর দুর্বল অবকাঠামো পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হওয়ায় বিকশিত হতে পারছে না পর্যটন খাত। দেশে পর্যটকবান্ধব পরিবেশ ও অন্য সুযোগ-সুবিধা গড়ে না ওঠায় এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা বাড়াতে প্রয়োজন নীতি সহায়তা।

২০১৫ সালে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও কাজ খুব একটা এগোয়নি। যাতায়াত সমস্যা, নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি, অব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন বিষয় পর্যটনশিল্পের বাধা হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু এসব বাধা দূর করাও অসম্ভব নয়।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পর্যটনশিল্প সম্পৃক্ত মূল সেবা খাতগুলো, যেমন—যানবাহন, আবাসন, খাবার ও পানীয়, বিনোদন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে সাধারণ ও পর্যটন অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়নকাজ এবং পর্যটকদের সেবাপ্রাপ্তি। এ ছাড়া হোটেলে যাতায়াত, খাবারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি।

এই খাতে সরকারের নজর একেবারে নেই বললেই চলে। পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে যে যার মতো ভাড়া নিচ্ছে। পর্যটন এলাকার হোটেল, মোটেল, বার, স্পা, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, সাগরে ক্যাসিনো, বিনোদনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়াতে সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট কমাতে হবে। দ্রুত অনলাইন ভিসা চালু এবং অন অ্যারাইভাল ভিসার পরিধি বাড়ালে পর্যটন খাত উপকৃত হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন