English

39 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

পাঠ্যবইয়ে ‘ভুল’: দায় স্বীকার করে জাফর ইকবাল-হাসিনা খানের বিবৃতি

- Advertisements -

চলতি বছরের নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অ্যাডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি একটি দৈনিকে মতামত কলামে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ তাদের নজরে এসেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যে কোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিক আহসান  বলেন, পাঠ্যপুস্তক হচ্ছে মূলত একটি সংকলন। এখানে অনেক লেখকের লেখা যুক্ত করা হয়ে থাকে। সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে একটি অধ্যায়ের দুটি প্যারাগ্রাফে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানো রেফারেন্সটা লেখা হয়নি। অসতর্কতার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পাঠ্যবই আসলে মৌলিক প্রবন্ধ বা পাবলিকেশন না, একটি সংকলন। এখানে নানা ধরনের লেখা থাকতে পারে, অন্য লেখকের লেখাও আসতে পারে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য আসতে পারে। সারা পৃথিবীতে এমনভাবেই পাঠ্যবই তৈরি করা হয়ে থাকে। বইয়ের মধ্যে লেখা কারও নিজের তা কেউ দাবি করেনি। তাই এখানো চৌর্যবৃত্তি বলা যাবে না। এখানে সোর্স উল্লেখ না করাটা ভুল ছিল বলে অভিযোগ স্বীকার করে বিবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন