এমন পরিস্থিতিতে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কুমিল্লার ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোডের (পূর্বের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) দুই ধারে থাকা শতবর্ষী গাছ থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে লাগানো গাছও কেটে ফেলা হচ্ছে। প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এরই মধ্যে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
প্রায়ই দেখা যায়, রাস্তার পাশের গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন কিছুই মানা হয় না। সামাজিক বনায়নের আওতায় লাগানো গাছের ক্ষেত্রে যাঁরা গাছ লাগান ও পরিচর্যা করেন তাঁরা বিক্রীত অর্থের একটি অংশ পান। অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকও একটি অংশ পান। সেসব গাছ বিক্রির জন্য অংশীজনদের মতামত নিতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা করা হয় না।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সওজ জায়গার মালিক হলেও গাছের মালিক বন বিভাগ। এই গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে, কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। সওজকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হলেও তারা তা শোনেনি।