বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অন্যান্য নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাদের (বিএনপি নেতারা) আমরা গ্রেপ্তার করব না তো কী করব? আবার অনেকে (বিদেশি রাষ্ট্রদূত) বলে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? প্রশ্ন হচ্ছে ওই সব দেশে যদি করত, তাহলে তারা কী করত? তাদের দেশে কী করছে সেটা আমরা জানি, দেখছি।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এভাবে মানুষ মারবে, অগ্নি-সন্ত্রাস করবে, মানুষকে নির্যাতন করবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করা এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সরকারে আছি, এটা আমাদের কর্তব্য।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কী কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনো গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোনো অত্যাচারও করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলন করেছি, আমরা তো এ রকমভাবে মানুষকে পুড়িয়ে, উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। আজ দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নি-সন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না। আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম বামপন্থীরা ডানপন্থীদের সঙ্গে এক হয়ে গেল। চরমপন্থী-ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী থেকে শুরু করে বামপন্থী কমিউনিস্ট, এত দিন যারা আদর্শের কথা বলছে তারা সব একই সঙ্গে, একই সুরে, একই কথা বলে কীভাবে? তারা এক হয়ে মিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে, সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী?’