বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্যই আন্দোলন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো আদালত বর্জন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচার বিভাগ আমাদের প্রাণ। দেশের বিচার বিভাগের প্রতি আঘাত আসছে বলে আমরা মনে করছি। এখানে যদি আঘাত আসে এবং দুর্বল হয়, তাহলে আমরাও দুর্বল হয়ে যাব। বিচার বিভাগ শক্তিশালী হলে ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা হতো না। বিচার বিভাগ শক্তিশালী থাকলে গণতন্ত্রের এ অবস্থা হতো না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ‘জগাখিচুড়ির’ নির্বাচন করছে। আমরা বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে চাই। এ জন্যই আমাদের আজকের আন্দোলন। বিচার বিভাগ শক্তিশালী হলেই দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, এ কথা সত্য, ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয়, যারা রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলবে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলবে, তারা তথাকথিত দলীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডারের মতো করে রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রের বেতন শুধুমাত্র সেই সব কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া কেউ আদালতে উপস্থিত হননি। সাধারণ আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিকে শতভাগ সফল করেছেন।
এর আগে সকাল থেকে আদালতের কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েকশ’ বিএনপিপন্থী এবং সরকারবিরোধী আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশ করেন।
এতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন রশিদ, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড লইয়ার্ ফ্রন্টের (ইউএলএফ) সমন্বয় সৈয়দ মামুন মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, সুপ্রিম কোর্টে বারের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোরশেদ আল মামুন লিটন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, কেএম জাবির, মো. আক্তারুজ্জামান, সগীর হোসেন লিওন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার মো. কামাল হোসেন, নাসরিন আক্তার, আইনজীবী রেজাউল করীম রেজা, কামরুজ্জামান মামুন, শামিমা সুলতানা দিপ্তী, জহিরুল ইসলাম সুমন, শহীদুল ইসলাম সপু, মাহবুবুর রহমান খান, একেএম রেজাউল করীম খন্দকার, মিজানুর রহমান, মো. পারভেজ হোসেন, ফাতেমা আক্তার, মো. মাকসুদ উল্লাহ, একেএম এহসানুর রহমান, মু. কাইয়ুম, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী এবং জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।