English

34 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

ভোলা সদরে আ.লীগ ও স্বতন্ত্রের মধ্যে সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৯

- Advertisements -

ভোলার সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাগারহাট বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের সমর্থকরা গভীর রাত পর্যন্ত লাঠিসোটা নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেছেন। এতে পুরো ইউনিয়নে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বতর্মান চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার পর তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়শেষে স্থানীয় বাগারহাট বাজারের তার নির্বাচনী কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ও তার কর্মী-সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে তার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে তার ওপর হামলা চালায়।

মিছিল থেকে তার কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীরা। পরে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. মনির ও রিয়াজসহ ৫-৭ জন কর্মী আহত হয়। হামলাকারীরা ওই এলাকায় অসংখ্য ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জনশূন্য। এলাকায় তার কোনো সমর্থন নেই। সে প্রতিদিন রাতে ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চায়।

আমি চাই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার ওপর হামলা করে আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে উঠিয়ে দিতে চায়।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, আমি বাগারহাট বাজারের পার্শ্ববর্তী ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি উঠান বৈঠক শেষ করে বাগারহাট বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় গিয়াস উদ্দিন নিজে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমার ওপর ককটেল হামলা চালায়।

হামলায় আমার একজন কর্মীর হাত ভেঙে যায় ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়। এসময় তারা আমার দুইটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এমনকি পুলিশের সামনে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালেও পুলিশ তাদেরকে কিছুই বলেনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় প্রতিদিন পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন