English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

শোকের মাস আগস্ট: গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

- Advertisements -

বাঙ্গালি এক অতি পরম সৌভাগ্যবান জাতি। তাদের কিছু কীর্তি ও অর্জন আছে যা বিশ্বে অনেকের নেই। মাতৃভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য দুনিয়ার বুকে ক’টা জাতির আছে? সবচেয়ে বড় কথা আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবের মত এত বড় মাপের নেতা পৃথিবীর কোন দেশের বা জাতির আছে ?

বঙ্গবন্ধুর একান্ত বিশেষত্ব এই যে, তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় পরিপক্ষতা অর্জন করে তবেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন ।পাকিস্তান আমলে তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারে হক মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রি ছিলেন।তখন তার কীইবা আর বয়স? মাত্র চৌত্রিশ বছর। বঙ্গবন্ধুর মত দ্বিতীয় আরেক ক্যারিশমেটিক নেতা বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে খুঁজে বের করা কঠিন। তার এক সম্মোহনী শক্তি এবং অনন্য বাগ্মীতা তাকে অন্যদের চেয়ে পৃথক করে রেখেছ । ১৯৭১ সনের সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার জন্য যথেষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই একটিমাত্র ভাষণ বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঘর ছেড়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পাগল করে তুলে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিত্বের বিশালতা প্রসঙ্গে কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মহান বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেন ‘আমি হিমালয় দেখিনি , তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমান। এভাবে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতাই লাভ করলাম।

ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মত বিশ্ব মাপের নেতার বিশ্লেষনে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিশালতা সমসাময়িক বিশ্ব নেতাদের এভাবেই ছাড়িয়ে যায়। আসলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যের পেছনে উপমহাদেশের ক’জন বরেণ্য রাজনীতিবিদের অবদান কোন মতে কম নয়। এরা হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু প্রমুখ। তারা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক গুরু ও সহকর্মি ছিলেন। তাদের কাছে রাজনীতির দীক্ষা নিয়ে মুজিব বহুদুর এগিয়ে গেছে। আওয়ামী মুসলিম লীগের তৎকালীন সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী যখন তার দলের সেক্রেটারী শেখ মুজিব সম্পর্কে বলেন , ‘মজিবরের মত সেক্রেটারী আমি আর জীবনে পামু না ‘ তখন আমরা টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবের মধ্যে জাতির দুর্দিনের কান্ডারী শেখ মুজিবকে আবিস্কার করি।

এই বিশ্ববরেণ্য নেতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে এদেশের কিছু বিপথগামী কুলাংগার। শোকের মাসে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক- সাংবাদিক, সমাজ উন্নয়ন কর্মী।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন