English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

সংস্কার ও নির্মাণের উদ্যোগ নিন: পরিত্যক্ত ভবন

- Advertisements -

ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়া অনেক ভবন যেকোনো সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভূমিকম্প বা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি, অথচ ভবন ধসে পড়েছে। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অনেক ঘটনার অনেক খবর এসেছে গণমাধ্যমে।

কিন্তু তার পরও এমন অনেক ভবন ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোনো ভবন, বিশেষ করে সরকারি অনেক ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর সেখানে কেউ বাস করছে না বা সেই ভবনে কোনো কাজ হচ্ছে না, কিন্তু তাতে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের।
এ ধরনের দুটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব আবাসিক ভবনই বসবাসের অনুপযোগী। এসব ভবন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান হিসেবে এসব ভবন ব্যবহূত হতো। ফলে বাধ্য হয়ে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে হচ্ছে। প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি ৬০ বছরের পুরনো, জীর্ণশীর্ণ।
জায়গার স্বল্পতার কারণে ৬০ বছরেও এখানে কমপ্লেক্স ভবন তৈরি হয়নি। এই জরাজীর্ণ, স্যাঁতসেঁতে ভবন থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। তাঁরা নাগরিক সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভোগান্তিরও শিকার হচ্ছে সেবাপ্রার্থীরাও। ১৯৬২ সালে ১৩ শতাংশ জমির ওপর দুটি একতলা ভবনের একটি ভবনে চেয়ারম্যান-মেম্বার, সচিব ও অন্যান্য কর্মচারীর কার্যালয়, অন্য ভবনটি গুদামঘর ও তথ্য সেবাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। দুটি ভবনেরই দেয়ালে নোনা ধরেছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

দেশের অনেক স্থানেই ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে জমি লাগে ২৫ শতাংশ। কিন্তু এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের আছে ১৩ শতাংশ জায়গা। এই জায়গার ওপর কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হলে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত লাগবে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী এই ইউনিয়নে অবস্থিত। চার লাখ ২৫ হাজার জনসংখ্যার এই ইউনিয়ন দেশের রাজস্ব খাতে বড় অবদান রাখছে। অথচ এই ইউনিয়নের পরিষদ কার্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আমরা আশা করব, এ ধরনের সব ভবন সংস্কার ও প্রয়োজনে নতুন করে নির্মাণের ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

ভোট দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন