ডিপিএইচই ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫৪ জেলার মোট ৭২ লাখ নলকূপে আর্সেনিক পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ১৩.৯১ শতাংশ নলকূপে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এর একটি বড় কারণ আর্সেনিক সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে এবং গভীর নলকূপ বসানোর হার অনেক বেড়েছে। সাধারণত অগভীর নলকূপে আর্সেনিক দূষণ অনেক বেশি হয়।
তবে দেশের কিছু এলাকায় এই হার মারাত্মকভাবে বেশি রকমের। যেমন—গোপালগঞ্জ জেলায় এই হার ৫২.৫৭ শতাংশ, চাঁদপুর জেলায় ৫২.৩৫ শতাংশ. কুমিল্লায় ৪৪.৯১ শতাংশ, সাতক্ষীরায় ৪০.৮৫ শতাংশ।
আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাদের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা করানোও সম্ভব হয় না। কোনো কোনো পরিবারে দেখা যায়, সবাই এই রোগে আক্রান্ত।
তাই আর্সেনিকোসিস মোকাবেলায় গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা আরো জোরদার করতে হবে।