করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সিলেটেও ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়লেও গণপরিবহণে নেই স্বাস্থ্যবিধি। কোথাও কোথাও অর্ধেক সিটের বদলে সকল সিটেই যাত্রী পরিবহণ করছে গাড়িগুলো। এতে ভাড়া নিয়ে প্রায়ই হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি গাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী রাখার কথা বলা হলেও কেউ মানছে না এসব নির্দেশনা।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সরকার ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করলে প্রথম তিনদিন সেটি কার্যকর হয়নি। করোনার হার বাড়লেও মানুষের মাঝে লকডাউন মানার তেমন কোন প্রবণতাই ছিল না। যে কারণে লকডাউনও চলে ঢিলেঢালা ভাবেই। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে দোকানপাট, শপিংমলও খুলে দেওয়া হয়। সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
পাশাপাশি নির্দেশনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়ার বিপরীতে প্রতিটা যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার উল্টোটাই। সরকার কর্তৃক দেয়া এই নির্দেশনা মানছেন না কোন চালক ও হেলপার।
দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার পরেও অর্ধেক যাত্রী নিচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন চালক জানান, গাড়ি থামার সাথে সাথে যাত্রীরা দলবেঁধে উঠে পড়েন। কাউকেই নামানো যায় না। তাই কি আর করা, সবাইকে নিয়েই আসতে হয়।
সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিষয়টির কোন তোয়াক্কাই করছেন না সিলেটের অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত জানান, সরকারের সব নির্দেশনাই মানা হচ্ছে। দুইএকটা জায়গায় হয়তো কিছু অনিয়ম হচ্ছে, আশা করি এগুলোও থাকবে না। তবে বেশি যাত্রী বহন করার অভিযোগটি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেন তিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিকের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আমরা সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি। নগরীর সবগুলো ট্রাফিক পয়েন্টে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। যারাই অনিয়ম করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।