English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

সেবার মান নিশ্চিত করুন: গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

- Advertisements -

সরকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে আছে ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, উপজেলা স্বাস্থ্যব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বেশ কিছু বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি, বিদ্যমান হাসপাতালগুলোতে সেবার পরিধি বাড়ানো ইত্যাদি। কিন্তু এসব প্রচেষ্টা যে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তদুপরি সমন্বিত পরিকল্পনা, ধারাবাহিকতা ও নজরদারির অভাবে এসব উন্নয়ন প্রচেষ্টার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছায় না। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যার পাশাপাশি চরম অব্যবস্থাপনায় ভুগছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দরিদ্র রোগীদের হয় চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যেতে হয়, না হয় গলাকাটা মূল্যে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হয়।

জানা যায়, হাসপাতালটিতে একটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। তিন বছর পরই সেটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর দুটি আইপিএস দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে পুরো হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে থাকে।

কোনো গোডাউন না থাকায় ওষুধসহ অন্যান্য সামগ্রী আউটডোরের খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে। দোতলায় পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীদের পাশেই রাখা হয়েছে অব্যবহৃত মালপত্র।

হাসপাতাল কম্পাউন্ডে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও), আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) এবং কর্মচারীদের কোয়ার্টার থাকলেও কেউ সেখানে থাকেন না। ফলে সন্ধ্যার পর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে রীতিমতো ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে।

১০ জন নিরাপত্তাকর্মীর স্থলে কাজ করেন একজন। চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জায়গায়ও আছেন একজন। চিকিৎসকরা কখন হাসপাতালে আসেন, কখন চলে যান তা হাসপাতালের লোকজনও বলতে পারেন না। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের।

এই চিত্র শুধু গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয়, কমবেশি প্রায় সারা দেশেরই চিত্র এটি। এমনিতেই চিকিৎসক ও লোকবল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তার পরও কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অনুপস্থিতি অত্যন্ত পীড়াদায়ক।

হাসপাতালের যন্ত্রপাতি প্রায়ই অকেজো হয়ে থাকে। সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে যে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক গড়ে তুলেছিল, সেগুলোর অবস্থাও একই রকম।

কিছুদিন আগে প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় থাকা ৪৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৪৩টিই বেহাল। আছে সরকারি ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ। অথচ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রধান ভরসা এখনো সরকারি স্বাস্থ্যসেবা।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার প্রধান ভরসা এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক।

এগুলো যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, রোগীরা যাতে রোগ নির্ণয়সহ অন্যান্য সেবা সঠিকভাবে পায়, সরকারি ওষুধ পায়, হাসপাতালের অবকাঠামো যাতে ঠিক থাকে সেসব দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরো উদ্যোগী হতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন