ফাইনালের ফেভারিট ছিলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। এই তকমা গায়ে মেখেই মাদ্রিদের ক্লে কোর্টে যেন আগুন এই বেলারুশ তারকা। আমেরিকান তরুণী কোকো গাউফকে হারিয়ে এক আসর পর ফের মাদ্রিদ ওপেনের মুকুট মাথায় তুললেন বিশ্বের এক নম্বর এই বেলারুশিয়ান। এটা তার ক্যারিয়ারের ২০তম ডব্লিউটিএ একক শিরোপা।
রোমাঞ্চকর ফাইনালে শনিবার সাবালেঙ্কা যেন খেলছিলেন আগুন নিয়ে। প্রথম সেটে গাউফকে কোনো সুযোগই দিলেন না, বোমার মতো একের পর এক ফরহ্যান্ড, বেসলাইন থেকে আঘাতের পর আঘাত। গাউফ ছিলেন সম্পূর্ণ ছায়া হয়ে, খুঁজে পাননি সমাধান। দ্বিতীয় সেটে গাউফ যদিও লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন, ৫-৪ গেমে পেয়েছিলেন এক সেট পয়েন্টও। কিন্তু সাবালেঙ্কা তখন জানিয়ে দিলেন, কেন তিনি বর্তমান টেনিসের রানি। শক্তি, ধৈর্য আর সাহসে সেটটি টাইব্রেকারে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬-৩, ৭-৬ (৭-৩) গেমে জিতে আনন্দে মাতেন বেলারুশের তারকা সাবালেঙ্কা।
২০২১ সাল থেকেই এই টুর্নামেন্টে এককভাবে দাপট দেখিয়ে আসছেন সাবালেঙ্কা। ২০২৩-এ শিরোপা জয়ের পর গেল আসরেও খেলেছিলেন ফাইনাল। তবে খুব কাছ থেকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ব্যর্থ হয়। তবে এবার ফাইনাল জয়ের মধ্য দিয়ে মাদ্রিদ ওপেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন বার চ্যাম্পিয়ন (২০২১,২০২৩ এবং ২০২৫) হওয়ার কীর্তি গড়েছেন। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল পেত্রা কভিতোভার (২০১১, ২০১৫, ২০১৮)।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে সাবালেঙ্কা আটটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ছয়টিরই ফাইনালে খেললেন, তিনটিতে জিতলেন শিরোপা। এর আগে তিনি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন ব্রিজবেন ও মায়ামি ওপেনে। এছাড়া রানার্সআপ হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও স্টুটগার্টে। তাতে ২০১৩ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে একই বছরে মায়ামি ও মাদ্রিদ ওপেন জয়ের কীর্তি গড়লেন সাবালেঙ্কা।