English

31.8 C
Dhaka
রবিবার, আগস্ট ৩, ২০২৫
- Advertisement -

বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গের মন্দির শহর

- Advertisements -

নাসিম রুমি: আপনাকে তার দুর্দান্ত ঐতিহ্য, গর্বিত সংস্কৃতি, উজ্জ্বল স্থাপত্য এবং পোড়ামাটির গল্পগুলি দ্বারা স্বাগত জানায়। আদি মল্ল, মল্ল রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দশম মল্ল রাজা জগত মল্ল তাঁর রাজ্য বিষ্ণুপুরে স্থানান্তরিত করেছিলেন।

বাংলায় পাথরের স্বল্প সরবরাহের কারণে পোড়া মাটির ইটগুলি বিকল্প হিসাবে এসেছিল এবং বাংলার স্থপতিরা ‘টেরাকোটা’ নামে পরিচিত একটি সুন্দর কারুকাজের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে, পোড়ামাটির শিল্পটি সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল। রাজা জগৎ মল্ল এবং তাঁর বংশধররা পোড়ামাটির ও পাথরের শিল্প দ্বারা নির্মিত অসংখ্য মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।

‘বালুচরী’ শাড়ি এবং বিভিন্ন ধরণের নিদর্শনগুলির জন্য বিশ্বখ্যাত এই নির্মল জায়গায় আপনার ছুটির গন্তব্য পরিকল্পনা করুন। এমন একটি শহর ঘুরে দেখুন যা টেরাকোটার ভাষা বলে। পোড়ামাটির শিল্পকর্মের দর্শনীয় পদচিহ্নগুলি সহ অসংখ্য কাঠামোর মধ্যে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীগুলির সমৃদ্ধিতে বাস করুন। বিভিন্ন মন্দির, আপনার আশেপাশে ফিসফিসিয়ে বলে যাওয়া ইতিহাস এবং মায়াময় শিল্প-ফর্ম অবশ্যই আপনাকে শিহরণ দেবে।

ভারতের পশ্চিম বঙ্গের এক মাএ মন্দীর নগরী নাম বিষুপুর। কলকাতা থেকে মাএ তিন ঘন্টার পথ বিষুপুর। কলকাতার সালিমা রেলষ্টশন থেকে প্রতিদিন সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটের সময়। ট্রেন বিষুপুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।আমি দুইবার বিষুপুর সফর করেছি। কলকাতার এত কাছে বিষুপরের দৃষ্টি নন্দন কারুকাজের শৈলী স্হাপিত মন্দীর গুলি পর্যটকদের বিশেষ ভাবে মুগ্ধু করে।এখানে বিদেশি, পর্যটকদের দেখতে পেলাম।শুধু মন্দীর নয় বিষুপুরে একাধিক সুন্দর বাগিচাও রয়েছে। থাকার জন্য অভিজাত হোটেলও রয়েছে।

আমি দুইবারই বাগিচা ঘেরা হোটেল হলিডে রির্সোটে অবস্হান করেছিলাম। বিষুপুরে ডিসেম্বর মাসে রাশমনি মেলা বসে।সে সময় পর্যটকদেরও মেলা বসে। একমাস আগে থেকে হোটেল বুকিং করতে হয় তানাহলে হোটেলের সমস্য মাঝে পতিত হতে হয়।একবার ডিসেম্বর মাসের একুশ তারিখে বিষুপুরে গিয়ে হোটেলের সমস্যয় পড়ে ছিলাম।

বাইশে ডিসেম্বর রাস মনঞ্চের সামনে উৎসব মুখর রাস মেলা বসে।মেলা সাতদিন থাকে।এই মেলাই হলো বিষুপুরের প্রধান উৎসব। এইমেলাতে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ -শিশু অংশ গ্রহন করে। কিছু তরুন-তরুনীকে অশ্লীল ভাবে দেখা গেল।কিছু নারী- পুরুষকেও তাই। আবার আনেকে এলোমেলো হয়ে অপত্তিজনক অবস্হায় দেখতে পেলাম। মুলত রাসমেলা উৎসব উপভোগ করার জন্যই ২০১৯ সালে বিষুপুর সফরে গিয়েছিলাম।এর আগে ২০১৪ সালে মে- মাসে সফরে গিয়ে প্রচন্ড তাপদাহতে পতিত হয়েছিলাম। স্মৃতির পাতায় বিষুপুর আজও আমার অন্তরে জুড়ে আছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/zbvv
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন