English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে বৈশাখী টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে ‘কৃষি ও জীবন’

- Advertisements -

আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে বৈশাখী টেলিভিশনের পর্দায় আসছে কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘কৃষি ও জীবন’। প্রচার হবে প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায়। নাগরিক ঢাকার আয়োজনে অনুষ্ঠানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিড এন্টারপ্রাইজ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে টিপু আলম মিলন, ব্যবস্থাপনা: লিটু সোলায়মান, পরিকল্পনা: এম নাঈম হোসেন, প্রযোজনা: শাহ্ আলম। উপস্থাপনা: কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. হাসনাত সোলায়মান।
কৃষিপ্রধান দেশ, বাংলাদেশ। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন-৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে চলেছে, যা আজ সারা দেশে প্রশংসিত। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে কৃষির বৈপ্লবিক উন্নয়ন, কৃষি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিত্য-নতুন গবেষণা, পরিকল্পনা ও কৃষি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য ও ব্যবস্থাপনাসহ কৃষির বিবর্তন তথা আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তথ্যবহুল এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা মানুষ তথা কৃষক সমাজ যেমন জানবে তেমনিভাবে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে স্বাবলম্বী হতে পারবে। সবমিলিয়ে দেশে কৃষির সব উন্নয়ন চিত্র ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরাই ‘কৃষি ও জীবন’ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
বৈশাখী টেলিভিশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমাদের জীবন ও জীবিকার অন্যতম মাধ্যম কৃষি। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষিখাত থেকে। দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের গৃহিত নানামুখী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের সুদূরপ্রসারী কৃষিনীতির এক বাস্তব প্রতিফলন। বর্তমান সরকারের কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত ও বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে পরিবেশের বিপর্যয় এড়িয়ে কৃষি, কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রোয়ার্স মার্কেট, কুল চেম্বার স্থাপন, রিপার ভ্যান পণ্য বিপণন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়েছে।
টিপু আলম মিলন আরো বলেন, ‘কৃষি ও জীবন’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো বর্তমানে দেশের কৃষিব্যবস্থা, বিপণন, রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা, মাটি-পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষির বিবর্তনে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনাসহ ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রত্যেকটি খাতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ধারাকে কিভাবে বর্তমান সরকারের তিন স্তরের চলমান কৃষি বনায়ন ও জীববৈচিত্র রক্ষায় কৃষির ভূমিকাকে আরো বেগবান করা যায় সে বিষয়ে তৃণমুল পর্যায়ে কৃষি বিষয়ক যাবতীয় সমস্যা ও তার সমাধান, কৃষিবিজ্ঞানীদের ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ নতুন প্রজন্মের কৃষি-কৃষকদের পরিকল্পনা, স্বপ্ন ও সাফল্য গাঁথা। আমাদের বিশ্বাস চলমান কৃষি, অল্প ব্যয়ে নব নব আবিষ্কারের তত্ত্ব, তথ্য ও প্রযুক্তি কৃষিকর্মী ও কৃষকের কাছে পৌঁছে দিয়ে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে স্বপ্নের সবুজ শ্যামল বাংলা গড়ে তুলতে দেশের ‘কৃষি ও জীবন’ অনুষ্ঠান কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন