এ মুহূর্তে ঢাকার আবহাওয়া বোঝা মুশকিল। সকালে একরকম তো বিকালে আরেকরকম। কখনো রোদ, কখনো ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় শরীর খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
আবার অনেকের মাথাব্যথা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এ সময়টায় একটু বাড়তি যত্ন না নিলে আপনি খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
অসুস্থতার লক্ষণ দেখলে দ্রুতই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ মাথা ঘোরা, ঘাম থেমে যাওয়া, বমি বমি ভাব কিংবা শরীর অস্বাভাবিক গরম লাগা—এসব হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। তা ছাড়া গরম-ঠান্ডার ওঠানামা এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়।
তবে শরীরকে প্রস্তুত রাখলে অস্বস্তি অনেকটাই কমানো যায়। সে জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। সেই সঙ্গে আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়া, সময় বুঝে চলাফেরা করা আর শরীরের সংকেত বোঝার চেষ্টা করলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
শরীর ঘেমে গেলে শুধু পানি নয়, সঙ্গে ইলেকট্রোলাইট বা খাবার স্যালাইন পান করা উচিত। এতে শরীরে লবণ ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়।
এই গরমে টাইট পোশাক না পরাই ভালো। কারণ গরমে টাইট পোশাক শরীরকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। সে জন্য হালকা আর ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। হালকা রঙের পোশাকে বাতাস চলাচল করতে পারে, সে রকম কাপড় পরা উচিত।
তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অস্বস্তি এড়াতে প্যাটার্নওয়ালা পোশাকও পরতে পারেন। আর দুপুর রোদে কাজ সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গরম সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময় রোদে ইউভি রশ্মিও অনেক বেশি থাকে। তাই দুপুরের এ সময়ে রোদে বেশি কাজ না করাই ভালো। প্রয়োজন হলে সকাল বা সন্ধ্যায় কাজ করুন।
গরমে ঘাড়ে ভেজা কাপড় রাখা, ঠান্ডা পানিতে হাত–মুখ ধোয়া, কিংবা বরফ পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে নেওয়া— এসব ছোট কৌশল শরীর দ্রুত ঠান্ডা করে। তবে কড়া রোদ থেকে ঘরে ঢুকেই এমনটি না করাই ভালো। আগে ঘরের জানালার পর্দা টেনে সূর্যের আলো আটকান। এরপর ফ্যান, এসি বা কুলার ব্যবহার করুন।