English

33.3 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

কিডনি দেওয়ার আগে দোতলা বাড়ি লিখে নেন স্ত্রী, দাবি সাভারের সেই স্বামীর

- Advertisements -

এবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুললেন সাভারের উম্মে সাহেদীনা টুনির স্বামী মোহাম্মদ তারেক। শুধু তাই নয়, বাড়ির দোতলা অংশ লিখে দেওয়ার পর কিডনি প্রদানে সম্মত হন টুনি—এমনই অভিযোগ করলেন।

নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই স্বামী সুস্থ হয়ে জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ায়। শুধু তা-ই নয়, স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি—তারেকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী টুনি।

কিন্তু এখন স্বামীর মুখে শোনা যাচ্ছে উল্টো কথা।

আলাপকালে তারেক বলেন, ‘যখন চেন্নাইয়ের ডাক্তার বলল যে অপারেশন করে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। তখন এসে আমি সেটা করালাম। আমার টাকাতেই, কারণ তখন আমার টাকা ছিল, ব্যবসা ছিল।

টুনি যখন কিডনি দেওয়ার পরিবর্তে দোতলা বাড়ি লিখে দিতে বলল তখন আমি সেটা রেজিস্ট্রি করে দিলাম। দোতলা পুরোটাই লিখে দিলাম, যেটার দাম এখন ৬০ লাখ টাকার মতো।’

তারেক অভিযোগ করে বলেন, ‘তখন সে কিডনি দিল, ওর মা-বোন তখন অনেক নিষেধ করছিল তারপরেও সে কিডনি দিল। কারণ তখন আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

তারপর থেকে তার মন-মানসিকতা পরিবর্তন হতে লাগল। মোবাইলের দিকে এত আকর্ষণ যে, টিকটকের ভেতর সে যখন ঢুকল তারপর থেকে একের পর একজনের সঙ্গে সে প্রেম করে। একজন থাইল্যান্ড থেকে চলে আসছে, তার বৌ ছিল, ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ওই লোক আমাকে এসে যখন বলল, তখন আমি বললাম দেখেন সে এর আগেও একবার করছে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে। সে কোনো সরিও বলে না, দুঃখও প্রকাশ করে না।

ধরার পর চুপচাপ। তিন বছর ধরে রিজভী নামের একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমার সঙ্গে থাকার সময় সে চ্যাটিং করত। একদিন রাতে দেখি সে নাই। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে যে রুম কখনো খুলি না, সেই রুম খুলে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরি। দুইটা চড় মেরে তাকে নিয়ে আসি।’

স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক নিয়ে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এরপর সাভার থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করছে। এরপরে চ্যাটিং করত। আমি একসময় বাসা থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিই। কাপড়চোপড় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে আমাকে বলে যেও না। তারপর আমি থেকে যাই। সে ওই ছেলেকে টাকাও দিয়েছিল। প্রতারণার শিকারও হয়েছিল। তার জন্য সে কান্না করত। আমার কাছে এসেও কান্না করত। আমি তাকে বোঝালাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার প্রতিও তার ঘৃণা সৃষ্টি হলো।’

এরপর কারাবরণ করতে হলো জানিয়ে তারেক বলেন, ‘একদিন আমি তাকে বললাম, দেখো তোমার এসবের মাঝে আমি আর নেই। আমি চলে যাচ্ছি। তোমার যাকে খুশি এনে রাখো, যার সঙ্গে খুশি থাকো। আমি এসবের মাঝে নেই। এরপর আমাকে জেলে যেতে হলো।’

তারেক বলেন, ‘আমাকে জেলে যেতে হলো। যৌতুকের মামলায় টানা ৪০ দিন জেলে ছিলাম। এরপর নারী নির্যাতন মামলা। ওদের প্ল্যান ছিল আমাকে জেলে মেরে দেবে। আমি কিডনির ওষুধ না খেলে কিন্তু মারা যাব। আমাকে যখন বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে গেছে এটা কিন্তু কেউ জানত না। আমার মাকে তারা অনেক আগেই তাড়াইছে। ফলে আমার মা জানতে পারল না। আমার ছোটভাইটা আমাকে জামিন করাল।’

নিজের পরকীয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘টুনিরই অভিযোগ আমি শারীরিকভাবে অক্ষম, তাহলে আমি কিভাবে আরেকজন মেয়ের সঙ্গে থাকব? এসব তার বানানো।’

তারেক এখন সাভারের সেই নিজের বাড়িতেও যান না। তার ফোন, কাপড়, সবকিছুই রয়েছে সেখানে। তবুও সেখানে যান না। তার মা তাকে সেখানে যেতে দিতে চান না, তার মা মনে করেন তিনি সেখানে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে—এমনটাই জানালেন তারেক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে কলেজপড়ুয়া তরুণী উম্মে সাহেদীনা টুনির সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক তারেকের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পরই তারেক ও টুনির সংসার আলো করে আসে একটি পুত্রসন্তান। নাম রাখা হয় আজমাইন দিব্য। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারেক।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/68pl
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন