রাজধানীর উত্তরার মাইলষ্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন হারান শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী। গতকাল সোমবার দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে সাতটায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মাহরিন চৌধুরী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার মরহুম মুহিত চৌধুরীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম মনসুর হেলাল।
স্ত্রীকে হারিয়ে শোকে পাথর মনসুর হেলাল আজ মঙ্গলবার সকালে জানান, মঙ্গলবার বাদ জোহর দুপুর ২টায় ৩০ মিনিটে গ্রামের বাড়ি বগুলাগাড়ী চৌধুরী পাড়ায় মা-বাবার কবরের পাশে মাহরিনকে দাফন করা হবে।
তিনি জানান, রাজধানীর উত্তরার মাইলষ্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) ছিলেন মাহরিন। সম্প্রতি তিনি নিজ গ্রামের বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজকে মাইলষ্টোনের মতো গড়ে তোলার স্বপ্নে এক মাস আগে ওই স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে মাহরিন চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্ট্যাটাস।
বিভিন্ন মহলের মানুষ বলছেন, তিনি নিজে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছেন, শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবুও তিনি জলন্ত আগুন থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এটাই তিনি প্রমাণ করে গেলেন শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতে হয়। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে শিক্ষিকা মাহরিনের নাম