মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমিল্লার টমছম ব্রিজ কবরস্থানে মুনিয়ার মরদেহ বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪ টায় নগরীর উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার অরণি হাউজের সামনে আসে মুনিয়ার মরদেহ বহন করা গাড়ি।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা (নম্বর ২৭/১২৯) করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আসামি করা হয় ওই মামলায়।
এদিকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
তিনি জানান, একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মোসারাত জাহান রোববার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিল না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, দুই বছর আগে মামলার অভিযুক্ত শিল্পপতি ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় মোসারাত জাহান মুনিয়ার। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক লাখ টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন মুনিয়া। ১ মার্চ থেকে ওই শিল্পপতি মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন।