English

30 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

করোনার মধ্যেই বগুড়ায় বন্যার সম্ভাবনা, শঙ্কিত সাধারণ মানুষ

- Advertisements -

করোনাভাইরাসের মধ্যেই বগুড়াবাসীর জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ আসছে। জেলার যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে যে কোনও সময়।

সোমবার (৫ জুলাই) যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির শ্রোতে যমুনার প্রধান শাখা নদী ডাকুরিয়া ও বাঙালি নদীতে পানি ঢুকছে হু হু করে। সারাবছর শুষ্ক থাকা নদীতে বন্যার পানি প্রবেশ শুরু করায় নদী এলাকার সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নদীর প্রায় ১১২টি চরের কিছু কিছু অংশে পানি প্রবেশ করেছে।

জানা যায়, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যার আগাম আবহাওয়া বিরাজ করছে। যমুনা নদীর ভাঙনে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট নদী এবং খালগুলোতে পানিতে ভরে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সোমবার ডাকুরিয়া নদীর শাখামুখ ভেঙে পানি প্রবেশ করে। সকাল ১১টা থেকে যমুনা নদীর কাছের বিভিন্ন খালে পানির শ্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এই খাল ও নদী ভরে গেলে ধীরে ধীরে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে বন্যা দেখা দেবে।

Advertisements

এক সময় ডাকুরিয়া নদীটি ছিল যমুনার অন্যতম শাখানদী। নদী ভাঙনের ফলে এর বেশিরভাগ অংশ যমুনাগর্ভে চলে যাওয়ায় এর দৈর্ঘ্য অনেকটাই কমে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সারিয়াকান্দির যমুনার কালিতলা, মথুরাপাড়া, দেবডাঙা, পারতিতপরল, রৌহাদহ এবং বাঙালি নদীর ছাগলধরা, হিন্দুকান্দি, নারচীসহ প্রভৃতি ঘাটে বন্যার আশঙ্কার মধ্যেও নৌকা চলাচল শুরু হয়েছে।

নৌ-পথ সৃষ্টি হওয়ায় লকডাউনের কারণে উপজেলা প্রশাসন থেকে নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ফলে নদীতে নৌকা চলাচল তেমন করছে না। তবে নদী পারের মানুষ বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কায় ঘরের মালামাল অন্যত্র স্থানন্তর করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত বৈশাখ মাস থেকে নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন হলো পানিবৃদ্ধি হলেও এখনও বিপদসীমার  নিচেই রয়েছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি সদরের যমুনা নদীর খেয়া ঘাটের মাঝি আলতাফ আলী জানান, যমুনায় পানি বেশ বেড়েছে। পানি বেড়ে এখন যমুনার পাশের বিভিন্ন খালে পানি প্রবেশ করছে। পানির এখন বেশ শ্রোত রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে যমুনার ডাকাতমারা, মূলবাড়ী, ইন্দুরমারা, কাজলা, বেনিপুর, বাওইটোনা, বেড়াপাঁচবাড়িয়া, চরদলিকা, চালুয়াবাড়ী, বেনিপুর, শোনপচা, চরঘাগুয়াচরসহ প্রায় ১১২টি চরের আশেপাশে পানি এসেছে। এসব গ্রামের মানুষরা তাদের নিজস্ব নৌকা নিয়েই নদীপথে চলাচল করছে।

Advertisements

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৫.৮০ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, বাঙালি নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৪.৭৭ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, গত শনিবার বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ তাসকিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই বন্যা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া জানান, লকডাউনে নৌ-পথে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও নৌকা বের হতে দেয়া হচ্ছে না। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন