যমুনার পানি কমায় বগুড়ার ধুনটের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হয়েছে উপজেলার সরাবারই গ্রামের সমতল ভূমি। ভাঙন ধেয়ে আসছে জনবসতির দিকে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সরেজমিন দেখা যায়, যমুনা নদীর ভাঙন-রোধে ২০০১ সালে সরাবারই ও তার এক কিলোমিটার ভাটিতে বানিয়া-জান সঁপার নির্মাণ করা হয়েছে। এ সঁপার নির্মাণের ফলে সরাবারই ও বানিয়া-জান গ্রামের মাঝখানে আবাদি জমি ও জনবসতি রক্ষা হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে নদীতে প্রবল স্রোত বইছে।
সরাবারই থেকে বানিয়া-জান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহের ভাঙনে হারিয়ে গেছে চাষের জমি ও জীবনের নির্ভরতা। ফলে ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এখান থেকে প্রতি বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। সে সময় কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না। প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। এখন তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসীর।
নদীতে কয়েকদিন ধরে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙন-রোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন আলী বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যমুনা নদীর ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তাই নদীপাড়ের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাঙন-রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’